এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘ সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? টাকা ফেরতের দাবি বাসিন্দাদের! জেনে নিন!

‘ সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে দুর্নীতি? টাকা ফেরতের দাবি বাসিন্দাদের! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি আরামবাগ পৌর এলাকায় “সবার জন্য বাড়ি” প্রকল্পে দুর্নীতির ঘটনা সামনে চলে আসে। যেখানে একাধিক উপভোক্তা তাদের বরাদ্দ থেকে পৌরসভার ত্রাণ তহবিলে 18000 টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়ে পৌর কর্তৃপক্ষ। আর এবার সেই পৌরসভার ওপর চাপ বাড়িয়ে সেই টাকা ফেরতের দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করলেন বাসিন্দারা।

জানা যায়, গত 25 জুন আরামবাগ পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি এই ব্যাপারে আরামবাগ মহকুমা শাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। যেখানে তার পাশবই এবং চেকবই তিনি ফেরত চেয়েছেন। বাড়ি তৈরীর কাজ শুরু হওয়ার আগেই কেন উপভোক্তাদের পাসবই এবং চেকবই পৌরসভায় রাখা হচ্ছে, তা নিয়ে তোলা হয়েছিল প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই তার পর যেভাবে পৌরসভার পক্ষ থেকে উপভোক্তাদের 18 হাজার টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিলেন একাংশ। আর এবার সেই টাকা ফেরতের দাবিতে সোচ্চার হতে শুরু করলেন বাসিন্দারা।

জানা গেছে, এদিন এই প্রসঙ্গে 16 নম্বর ওয়ার্ডের চাদরের শেখ আজিজুল হক বলেন, “আমার বাড়ি তৈরী হয়ে গিয়েছে। পৌরসভা 18000 টাকা কেটে নেবে বলেছিল। বিষয়টি যখন বেআইনি বলে জানতে পেরেছি, তখন সেই টাকা আর দেব না।” তবে গোটা বিষয়ে পৌরসভা যেভাবে চাপে পড়েছে, তাতে চাঞ্চল্য ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। পৌর কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আরামবাগ পৌরসভা এলাকায় মোট সাড়ে 9 হাজার বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেই বাড়ি নির্মাণের পর সেখানকার পরিকাঠামোর জন্য বাড়িপিছু প্রায় 18 হাজার টাকা খরচ হবে। সেক্ষেত্রে 17 কোটি টাকারও বেশি পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হবে। তাই পৌরসভার তহবিল না থাকায় যারা ওই খরচ বহন করতে আগ্রহী ছিলেন, তাদের থেকেই ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটা কি সত্যিই উচিত? যেভাবে গরিব মানুষদের টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে, তাতে তো পৌরসভার বিরুদ্ধে দিনকে দিন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ পৌরসভার প্রশাসক স্বপন নন্দী বলেন, “এখন অভিযোগ ওঠায় পৌর কমিটিতে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়ালে দুঃস্থ পৌরসভা এবং দুঃস্থ উপভোক্তাদের ওপর চাপ পড়ত না। উপভোক্তারা গৃহনির্মাণ না করে টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন। টাকার সদ্ব্যবহার সংক্রান্ত শংসাপত্র দেওয়া যাচ্ছিল না। সেই কারণে পরবর্তী বরাদ্দের টাকা পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই উপভোক্তাদের পাস বই এবং চেকবুক পৌরসভার কাছে রাখা ছিল। অভিযোগ ওঠার পর আর সেটা রাখা হচ্ছে না।”

অর্থাৎ পৌর প্রশাসকের এই কথা থেকেই স্পষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে এখন যাতে আর কোনো অভিযোগ না ওঠে, তার জন্য তারা সচেতনতা অবলম্বন করছেন। সব মিলিয়ে এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পৌর কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!