এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির কানন হচ্ছে না শোভন-ময়! নেপথ্যে কি “বৈশাখী-ঝড়ের” আতঙ্ক? বাড়ছে জল্পনা

বিজেপির কানন হচ্ছে না শোভন-ময়! নেপথ্যে কি “বৈশাখী-ঝড়ের” আতঙ্ক? বাড়ছে জল্পনা


বেশ কিছুদিন হয়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিলেও তিনি এখনও সেই ভাবে কোনো কর্মসূচিতে যোগদান করেননি। শুধুমাত্র বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য তাঁকে ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে খবরের শিরোনামে এসেছে।

কিন্তু, যে রাজনৈতিক কর্মসূচি তৃণমূলে করতে পারছেন না বলে, ‘অভিমান’ নিয়ে দল ছেড়েছিলেন – এখনও পর্যন্ত তা দেখা যায় নি! উল্টে, দল ছাড়বেন বা দেবশ্রী রায়কে বিজেপিতে যোগদান করতে দেবেন না – বলে বিতর্কও বাড়িয়েছেন! অনেকে বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মত। তিনি না পারছেন বিজেপি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসতে, আর না পারছেন বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে। কিন্তু কেন?

যে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাথে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন, সেই তিনি কেন বিজেপির কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন না! সূত্রের খবর, বিজেপিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার সেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, শোভনবাবুকে বিজেপি গুরুত্ব দিতে চাইলেও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারা সেই ভাবে গুরুত্ব দিতে চাইছে না।

কিন্তু এইখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেননা এর আগে এই বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আপত্তি থাকার জন্যই শোভন চট্টোপাধ্যায় বান্ধবী প্রীতি দেখাতে গিয়ে দীর্ঘদিনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত সঙ্গত্যাগ করে, সেই বান্ধবীকে সাথে নিয়ে “বন্ধুত্ব বড়” বলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে বিজেপিতে যোগ দিয়েও যদি সেই বান্ধবীর জন্য তার রাজনৈতিক উত্থানে ভাটা পড়ে, তাহলে তার সুবিধাটা হল কোথায়!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে খুব একটা গুরুত্ব না পাওয়ায় মাঝেমধ্যেই নানা আলটপকা মন্তব্য করে বলেছেন। কখনও তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার কথা, আবার কখনও বা তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জল্পনাই শুধু উসকে দিচ্ছেন না, পাশাপাশি বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে উত্তরণের পথকেও তিনি অনেকটাই বাধাপ্রাপ্ত করছেন বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের একাংশের।

আর যার কারণেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক অবস্থা এখন অত্যন্ত সংকটজনক মত বলে বিশ্লেষকদের। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ কলকাতায় এসে সভা করলেও এবং তাদের কাছে আমন্ত্রণ গেলেও সেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারা দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সমাবেশে উপস্থিত হননি কেন!

তা নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলে তিনি তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে দলীয় সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত রয়েছেন এই যুক্তি খাড়া করেন। তৃণমূল মহাসচিবকে ফোন করার কারণ হিসেবে বৈশাখীদেবী বলেন, “প্রাতিষ্ঠানিক কারণেই শিক্ষামন্ত্রীকে ফোন করা হয়েছিল। আর অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থাকতে পারব না বলে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা বিজেপিতে থাকি বা না থাকি, কিন্তু বিজেপি থাকবে।”

আর এখানেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে যে, তাহলে কি ফের শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দলবদল করতে চলেছেন! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বঙ্গ রাজনীতিতে বৈশাখীদেবী অতটা গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে তার বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। কেননা এর আগে বান্ধবী প্রীতি দেখাতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ত্যাগ করে সেই বান্ধবীকে সাথে করে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

যার ফলে অনেকেই ভেবেছিল, এবার হয়ত নিজের রাজনৈতিক শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়ে প্রাক্তন নেত্রী ও প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে পদ্ম শিবিরে থেকে কোমর বেঁধে ময়দানে নামেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তা তো হলই না, উল্টে সেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির একস্তরের নেতৃত্বের যে ক্রমাগত বিবাদ হতে চলেছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত বিজেপিতে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আলটপকা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, তাতে শোভন বাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখন কোন পথে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!