এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি ও মোদী বিরোধিতায় মমতাকে সরিয়ে ক্রমশ তৃণমূলের মধ্যমণি হয়ে উঠছেন অভিষেক? বাড়ছে জল্পনা

বিজেপি ও মোদী বিরোধিতায় মমতাকে সরিয়ে ক্রমশ তৃণমূলের মধ্যমণি হয়ে উঠছেন অভিষেক? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তার অবর্তমানে তৃণমূল যারা সামলাবে, তাদের তৈরি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে হঠাৎ করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে জায়গা করে নেওয়া এবং তাকে যুব সংগঠনের শীর্ষ পদে দায়িত্ব দিয়ে দলের অলিখিত সেকেন্ড ইন কমান্ড করে দেওয়ার পরেই তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছিল। নিজের মত করে সংগঠনকে সাজিয়ে যুব বাহিনীকে শক্তিশালী ও করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই যে তিনি সব সিদ্ধান্ত নেন, তা কার্যত স্পষ্ট তৃণমূলের সকলের কাছে। তবে এবার কি ধীরে ধীরে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত রাশ নিজের হাতে নিতে চাইছেন?

বিজেপি ও মোদি বিরোধীতাকে কেন্দ্র করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের সমস্ত নেতানেত্রীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হওয়ার ঘটনায় সেই জল্পনাই তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। আর তার মধ্যেই গত বেশ কিছুদিন ধরে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করতে দেখা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার সকালে এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে টুইটে কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “করোনার কারণে মানুষ যখন প্রবল আর্থিক সংকটে, তখন করের পরিমাণ বেনোজির ভাবে বাড়িয়ে অশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়ার সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তারপরে যখন দাম বাড়ছে, তখন সাধারণ মানুষের ওপরেই তিনি কোপটা ফেলেছেন। কেন্দ্রের এই নীতি লজ্জাজনক।”

আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই টুইট করার সাথে সাথেই তা রিট্যুইট করতে দেরি করেননি তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা। রাজ্যসভার তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন থেকে শুরু করে তৃণমূল মহাসচিব শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের সমর্থনে পাল্টা টুইট করেন।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এছাড়াও দীনেশ ত্রিবেদী, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রাও একই ট্যুইট করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বা বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস সরব হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতদিন সমগ্র ঘটনায় দলনেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম বিরোধিতার সুর বেঁধে দিতেন দলকে। কিন্তু এবার যেভাবে কেন্দ্রের বিরোধিতায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে মন্তব্য করলেন, আর তার সাথে সাথেই রিট্যুইট করলেন অন্যান্য নেতারা, তাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে ভবিষ্যতে দলের নেতা হতে চলেছেন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

একাংশের মতে, আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন। আর তাই আগামীর কথা ভেবে নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামিয়ে মানুষের সাথে আরও বেশি করে সংযোগ করাতে চাইছেন তিনি। আর তারই অঙ্গ হিসেবে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম মুখ খোলার সাথে সাথেই তার মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা টুইট করে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতা নেত্রীদের।

অর্থাৎ তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে সমর্থন করে কার্যত প্রমাণ করে দিলেন যে, দলের ঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। কিন্তু যদি সত্যিই গোটা ব্যাপারটি এদিকে গড়ায়, তাহলে তৃণমূল কতটা সাফল্য পাবে এবং দলের অন্দরে অনেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান মেনে নেবেন কিনা, তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!