এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের ২.৩ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর উৎসব-অনুদানের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের

রাজ্যের ২.৩ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর উৎসব-অনুদানের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের


আর কদিন বাদেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে বাঙালির সবথেকে বড় আবেগের উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই পুজোর বাজার থেকে ভোরের বাতাসে পুজো-পুজো গন্ধ রোমাঞ্চিত করছে আপামর বঙ্গবাসীকে। বাঙালির সবথেকে বড় উৎসবকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে চেতার ত্রুটি রাখছে না রাজ্য সরকারও।

রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে সরকারি অনুদান থেকে বৈদেশিক টিভি চ্যানেলে দুর্গাপুজো গোটা বিশ্বকে দেখানোর পরিকল্পনা – সব পদক্ষেপই নিয়েছে রাজ্য সরকার। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন। এখন থেকেই কোন প্যান্ডেলের ভিড় কিভাবে সামলানো হবে তার তৎপরতাও তুঙ্গে প্রশাসনিক মহলে।

কিন্তু এসবের মাঝেও মন ভালো নেই রাজ্যের ৫৭৬ টি আইসিডিএস প্রকল্পের প্রায় ২.৩ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের। কেননা, এখনো তাঁদের কপালে জোটে নি দুর্গাপুজো উপলক্ষে উৎসব-অনুদান। এমনকি কবে পাওয়া যাবে সেই অনুদান তা নিয়েও মেলেনি কোন সরকারি নিশ্চয়তা। ফলে পুজোর মরশুমে সবাই যখন নতুন পোশাকের গন্ধে মাতোয়ারা, তখন অন্ধকার নেমেছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের চোখে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর তাই চুপ থাকতে পারলেন না পশ্চিমবঙ্গ সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীর সাহা। বাস্তব পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরে তাঁর সংগঠনের তরফে এক সরকারি আবেদন তুলে ধরলেন তিনি। সুবীরবাবু সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প অধিকর্তাকে এক আবেদনপত্র পাঠালেন – যার প্রতিলিপি জেলা প্রকল্প আধিকারিক ও শিশু বিকাশ প্রকল্প অধিকারিককেও পাঠিয়েছেন তিনি।

ওই আবেদনপত্রে সুবীরবাবু অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের বাস্তব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে জানিয়েছেন যে পুজো শুরু হতে আর ৭ দিনও বাকি নেই। এর মাঝে শনি-রবি ও মহালয়ার ছুটি বাদ দিলে হাতে থাকে মাত্র ৪ দিন। আর তাই যেন রাজ্যের ২.৩ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের পরিবারের নির্ভরশীল সদস্যদের কথা ভেবে যেন সংশ্লিষ্ট কার্য্যালয়কে তাঁদের উৎসব-অনুদানের দ্রুত ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন দেখার, সুবীরবাবুর আবেদনে সাড়া দিয়ে উৎসব শুরুর আগে রাজ্যের লক্ষ-লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কোন সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!