এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শহীদ দিবসে দ্বিধা-বিভক্ত নেতাই! কার পাল্লা ভারী! জেনে নিন

শহীদ দিবসে দ্বিধা-বিভক্ত নেতাই! কার পাল্লা ভারী! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলে তৃণমূলের কাছে সিপিএম বিরোধীতার অন্যতম অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল জঙ্গলমহল। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে নেতাই, নানা জায়গার গণ-আন্দোলন সিপিএমের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিল। যার ফলশ্রুতি হিসেবে সেখানকার গনহত্যার বিচার চেয়ে তৎকালীন বাম সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে ক্ষমতার পথ প্রশস্ত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই সময় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাথে থেকে এই সমস্ত আন্দোলনের পুরোভাগে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী।

কিন্তু এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি পাল্টেছে। এককালে সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান লড়াই হলেও, এখন রাজ্যের ক্ষমতায় বসা তৃণমূলের সঙ্গে প্রধান লড়াই ভারতীয় জনতা পার্টির। গত 19 ডিসেম্বর সেই ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেছেন একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দু অধিকারী প্রতিবছর তৃণমূল কংগ্রেসে থাকার সময় নেতাই দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে যেতেন। এবারও তার অন্যথা হয়নি। কিন্তু এবার নেতাইয়ের শহীদ পরিবারের পাশে কারা রয়েছে, তা নিয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কার্যত দড়ি টানাটানি লক্ষ্য করা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের। যা দেখে কার্যত হতাশ নেতাইয়ের সেই সমস্ত শহীদ পরিবারগুলোর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ নেতাই দিবসের 10 বছর পূর্তি হল। কিন্তু এদিন শুভেন্দু অধিকারীর তরফ থেকে যেমন সেই সমস্ত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানো হয়েছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা এসেছেন সেই সমস্ত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মদন মিত্র, ছত্রধর মাহাতোর মত তৃণমূল নেতারা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি “মীরজাফর” বলে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে।

পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এতদিন এই সমস্ত শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে ভুলে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এখন চাপে পড়ে তারা আসতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেছেন যে, নেতাইয়ের শহীদ পরিবারগুলো কি বলছে?

জানা গেছে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের এখন দূরত্ব তৈরি হয়েছে, ঠিক তেমনই শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যেও তৈরি হয়েছে ফাটল। স্বজন হারানোর বেদনা তাদেরকে গ্রাস করছে ঠিকই। কিন্তু কেউ রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। আবার কেউ বা রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। একাংশ দাবি করছেন, এতদিন তৃণমূল কংগ্রেস তাদের পাশে ছিল না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বিপদে-আপদে তাদের পাশে ছিলেন। তাই তারা শুভেন্দু অধিকারীর সাথেই থাকবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে অনেকে আবার দাবি করছেন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকাল শহীদের পরিবারের পাশে থেকে এসেছেন। তাই তারা তৃণমূল কংগ্রেসের অবদান ভুলতে পারবেন না। আর শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেউ বা শুভেন্দু অধিকারীর দিকে তাকায় ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে নেতাই জুড়ে। একাংশ বলছেন, এতদিন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী বা তৃণমূল কংগ্রেস সমার্থক শব্দ ছিল। কিন্তু এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার সাথে সাথেই তৃণমূল কংগ্রেস তৎপর হয়ে উঠেছে। সেই সমস্ত শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকা নেতাই দিবসে অন্তত তার আভাস পাওয়া গেল। সামনেই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন।

তার আগে যদি সেই শহীদ পরিবারকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের চাপ বাড়াতে শুরু করেন, তাহলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে। তাই সেই দিকটা মাথায় রেখে তৃনমূলের পক্ষ থেকে নেতাই গ্রামে গিয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানো হল। তবে শুভেন্দু অধিকারী বা তৃনমূল কংগ্রেস শহীদদের পাশে থাকার পদক্ষেপ নিলেও, নেতাইয়ের শহীদ পরিবারগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক মতানৈক্য কার্যত স্পষ্ট বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!