এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপিকে সুবিধা দিতেই কি জোট বাঁধছে ওয়েইসি-মায়াবতী? উঠছে প্রশ্ন

সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়ে বিজেপিকে সুবিধা দিতেই কি জোট বাঁধছে ওয়েইসি-মায়াবতী? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই বিহার বিধানসভার নির্বাচন। আর তার আগে তিন রাজনৈতিক দলের জোট বাঁধাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, গতকাল বিহারের পাটনায় আরএলএসপি, এমআইএম এবং বিএসপির মধ্যে জোট ঘোষণা করা হয়। যেখানে তিন দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় আরএলএসপির উপেন্দ্র কুশওয়াহারার নাম। আর এই রাজনৈতিক দলের এক ছাতার তলায় আসা এখন ব্যাপক গুঞ্জন বাড়িয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

একাংশ বলছেন, উপেন্দ্র কুশওয়াহারা প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিজের জাতি অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া ভোটকে নিজেদের দিকে আনা। অন্যদিকে এমআইএমের অন্যতম শক্তি সংখ্যালঘু ভোট। আর মায়াবতীর ক্ষেত্রে দলিত সমাজের একটা শক্ত ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই তিন রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে পিছিয়ে পড়া দলিত এবং সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। যার ফলে অতিরিক্ত ফায়দা পেয়ে যাবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

একাংশ বলছেন, উপেন্দ্র কুশওয়াহারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নীতীশ কুমারকে পর্যদুস্ত করা। কেননা নীতীশ কুমার এবং তিনি দুজনেই এক সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই দুজনেরই লক্ষ্য পিছিয়ে পড়া ভোটব্যাংককে নিজেদের দিকে টানা। আর এর ফলে অনেকটাই লাভবান হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।। কেননা এই নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঠিকমত বন্দোবস্ত না করার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে তার দলের বিরুদ্ধে সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ রয়েছে। যার প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনে। সেদিক থেকে উপেন্দ্র কুশওয়াহার যদি সেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের ভোট নিজেদের দিকে নিতে পারে, তাহলে নীতীশ কুমার অনেকটাই দুর্বল হবে। আর নীতীশ কুমার যত দুর্বল হবে, তত সুবিধে হবে ভারতীয় জনতা পার্টির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে হায়দ্রাবাদের রাজনৈতিক দল এমআইএমের বিরুদ্ধে নানা সময় অভিযোগ ওঠে যে, তারা মুসলিম ভোট বিভাজনের ক্ষেত্রে নানা রাজ্যে প্রার্থী দেয়। যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ফায়দা লুটতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যেখানে অতীতেও বিভিন্ন রাজ্যে এই দল প্রার্থী দিলে সেখানে সংখ্যালঘু প্রার্থী না দিয়েও সেই আসন জিততে দেখা গেছে। তাই এবারে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে যদি এই দল প্রার্থী দেয়, তাহলে বিজেপি অনেকটাই সুবিধা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিজেপির আচরণে অনেকটাই ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে।

সেদিক থেকে বিহারে প্রায় 18 থেকে 20 শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের ভোট রয়েছে। আর সেই ভোট নিজেদের দখলে আনতেই ময়দানে নেমেছেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। আর তা যদি হয়, তাহলে ভোট কাটাকুটিতে শেষ পর্যন্ত এক্ষেত্রেও কপাল খুলে যেতে পারে গেরুয়া শিবিরের। আর এই সমস্ত সমীকরণের উপর নির্ভর করে তিন রাজনৈতিক দল জোট করলে আদতে বিজেপি সবথেকে বেশি লাভবান হবে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এই তিন রাজনৈতিক দলের একজোট হওয়া আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে কোনো সমীকরণ বদলে দেয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!