প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে কেন সরব নন প্রধানমন্ত্রী? এই প্রশ্ন তুলে গতকাল তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় প্রবলভাবে কটাক্ষ করা হয়েছিল বিজেপিকে। বিজেপির বিরুদ্ধে মেরুকরনের রাজনীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল, ভোটের আগে বাংলাদেশে গিয়ে প্রচার করেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী, এখন তিনি বাংলাদেশ নিয়ে কেন নীরব হয়ে রয়েছেন? বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চায় বিজেপি, এমন অভিযোগও করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে কেন সরব হলেন না মুখ্যমন্ত্রী? এবার এই প্রশ্ন তুলে একেবারে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার গতকাল বালুরঘাট থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। আজ সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, এত বড় ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের কোনো বার্তা দেয়া হয়নি যে ধরনের বার্তা দেয়া উচিত ছিল, তা হয় নি, যা চিন্তার বিষয়। কেন এই ধরনের কোনো বার্তা দেয়া হয়নি? পশ্চিমবঙ্গের পাশের দেশে যেখানে অনেক বাঙালি থাকেন, সেখানকার ঘটনা নিয়ে কেন কিছু বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী? এটা দুশ্চিন্তার বিষয় বলেই তিনি মনে করছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, বাংলাদেশের ঘটনায় যে ধরনের উত্তর গুলো পাওয়া যাচ্ছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত চিন্তার ব্যাপার। রাজ্য সরকার যে ভূমিকা পালন করছে, তাতে একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারছে না বিজেপি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কি কি কথা বলেছেন বা বলেননি, ভবিষ্যতে সকলে ঠিকই জানতে পারবেন।

কিন্তু সিএএ নিয়ে যে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারেন যে, তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘে যাবেন, কিন্তু পাশের দেশ বাংলাদেশে এত বড় একটা ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলছেন না, এটা যথেষ্ট রকম চিন্তার বিষয় বলেই, মনে করছেন তিনি।
এভাবে বাংলাদেশের ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেবারে বোমা ফাটালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ বিষয়ে শাসক দলের পক্ষ থেকে কি বক্তব্য রাখা হয়? সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের।