এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোই যে কঠিন দায়িত্ত্ব মেনে নিচ্ছেন খোদ সোমেন মিত্র

ভাঙা সংসার জোড়া লাগানোই যে কঠিন দায়িত্ত্ব মেনে নিচ্ছেন খোদ সোমেন মিত্র

বাংলায় দলীয় সংগঠনের বড়ই সংকটজনক অবস্থা। একেই কংগ্রেস বিধায়কদের নিজেদের দলে টানছে শাসকদল আবার অন্যদিকে দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে উঠে আসছে বিজেপি। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে বসলেন সোমেন মিত্র। কিন্তু এত কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে ঘুরে দাড় করাবেন তিনি বঙ্গ কংগ্রেসকে? নাকি এই অসম্ভব কার্যসিদ্ধির পেছনে তাঁর হাতে রয়েছে জাদুকাঠি? না, এমনটার মধ্যে কোনোওটাই নয় তা মানছেন বিধানভবনের বর্তমান মালিক।

সূত্রের খবর, বঙ্গ কংগ্রেসের ভাঙা সংসারকে জোড়া লাগাতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। দ্বায়িত্ব নেওয়ার পরেই রাজ্য কমিটির পদাধিকার প্রত্যেক ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগও করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাতের সময় পেয়ে প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ফোনও করেন তিনি। কিন্তু তখন অধীর চৌধুরী দিল্লির উড়ান ধরার জন্য বিমানবন্দরে পৌছে গিয়েছেন। তবে অধীর চৌধুরী না এলেও রাজভবনে গিয়েছেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রদীপ ভট্টাচার্য, শুভঙ্কর সরকারের মত নেতারা।

জানা গেছে, হাটুর অস্ত্রোপচারের জন্য বাইরে থাকায় এদিন আসতে পারেননি বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তবে তাঁর সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছেন সোমেন মিত্র। পাশাপাশি আজই বিধানভবনে গিয়ে প্রদেশ সভাপতির সাথে দেখা করবেন দীপা দাসমুন্সি এবং আবু হাসেম খান চৌধুরীরা। এছাড়াও এমন অনেক নেতা আছেন যাঁরা দীর্ঘদিন এই বিধান ভবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন সেই তাঁরাই এবার 75 বছরের ছোড়দাকে পেয়ে ফের বিধানভবনে আসতে শুরু করেছেন। তাহলে আর তো চিন্তা থাকার কথা নয়! সবাইকে পেয়ে এখন দলীয় সংগঠন চাঙ্গা করে বাংলায় ঘুরে দাড়াবে হাত শিবির। কিন্তু এই কথাটা শুনতে সহজ মনে হলেও কাজে যে এতটা সহজ নয় তা মানছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও।

এদিন তিনি বলেন, “কাঁটার আসনে বসতে যেমন লাগে, এটাও তেমনই। 25 বছর আগে যখন এই সভাপতির পদ ছেড়েছিলাম তখনকার অবস্থা থেকে এখন কংগ্রেসের আরও কঠিন অবস্থা। তখন বিজেপির যেমন এত রমরমা শুরু হয়নি, তেমনি তৃনমূলেরও আগ্রাসন দেখা যায়নি। আগে এগুলো সামলাই। পরে ঘুরে দাড়ানোর ভাবনা।” একই কথা শোনা গেছে আব্দুল মান্নানের গলাতেও। তিনি বলেন, “অধীর চৌধুরী হোক বা সোমেন মিত্র কারও হাতেই আলাদিনের আশ্চর্য্য প্রদীপ নেই।” তবে তিনি যে নিজে “হারকিউলিস” নন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সোমেন মিত্রও।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পাশাপাশি সভাপতি বদলের পরে মালদার গনি পরিবারের আবু হাসেম খান চৌধুরী প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরোক মন্তব্য করলে এদিন তা নিয়ে মুখ খুলে সোমেন মিত্র বলেন, “নেতা কর্মীরা সংযত থাকুন।” জানা গেছে আগামী 29 সেপ্টেম্বর রাজ্যের কমিটিকে একটি বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এখন সেই বৈঠক করে ফিরে এসে তৃনমূল এবং বিজেপির আগ্রাসন থেকে দলকে মুক্ত করাই প্রধান কাজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!