এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রথম সম্মুখ সমরেই প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির কাছে গোহারা হারলেন সোমেন মিত্র – জানুন বিস্তারিত

প্রথম সম্মুখ সমরেই প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতির কাছে গোহারা হারলেন সোমেন মিত্র – জানুন বিস্তারিত


প্রদেশ সভাপতি পদ খোয়ালেও এবার ফের রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে জয় হল সেই প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গোষ্ঠী বলে পরিচিত শাদাব খানের। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয় সোমেন মিত্রকে। আর এরপর থেকেই বর্তমান বনাম প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময় উত্তপ্ত হয় বিধান ভবন।

এমনকি সম্প্রতি সেই রাজ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রার্থী নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। একদিকে এই রাজ্য কংগ্রেসের যুব সভাপতি পদে প্রার্থী হন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলের রোহন মিত্র এবং অপরদিকে সেখানে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাদাব খান। ছেলেকে যুব সভাপতি করতে সোমেন মিত্র আটঘাট বেঁধে নামলেও অবশেষে তাঁর কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন অধীর চৌধুরীর শাদাব খানই।

সূত্রের খবর, গত দুদিন ধরে দলীয় স্তরে এই যুব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য রাজ্যের সমস্ত জেলায় দলীয় স্তরে ভোট গ্রহণ হয়। কিন্তু সেই পর্ব শেষে গণনাপর্বে দেখা যায় যে, প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে রোহন মিত্র যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদে যেখানে ৭,২৬৯ টি ভোট পেয়েছেন, সেখানে অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শাদাব খান প্রায় ৯,১৯৫ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ফলে, রোহন মিত্রকে প্রায় দুই হাজার ভোটে হারিয়ে রাজ্য যুব কংগ্রেসের নতুন সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন শাদাব খান। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ খোয়ালেও কিছুদিন আগেই রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত সৌরভ প্রসাদ এবং সদ্য যুব কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে জয়ী শাদাব খান দুই জনই প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ট হওয়ায় এখন রাজনৈতিকভাবে এই বিধান ভবনে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে যেতে পারেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ মনে করছেন যে, মূল সংগঠন চালাতে গেলে ছাত্র-যুবর সহযোগিতা প্রয়োজন। ফলে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী আদৌ নিজের ‘গ্রিপে’ থাকা ছাত্র-যুব দিয়ে সোমেন মিত্রকে সহযোগিতা করবেন কি না তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনে লোকসভা ভোট যেখানে ভেঙে পড়া সংগঠনকে চাঙ্গা করে তৃণমূল-বিজেপি-বামফ্রন্টের ত্রিফলা সামনে সম্মনজনক লড়াই দিতে হবে কংগ্রেসকে।

যতই ২০১৪ সালে রাজ্য থেকে ৪ টি লোকসভা আসন নিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি হয়ে থাকুক কংগ্রেস – ২০১৯ এর নির্বাচন এক অর্থে তাদের কাছে সমমনা রক্ষার লড়াই। আর এই লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যখন বাড়ে বাড়ে দলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, ঠিক তখনই ছাত্র-যুব সংগঠনের রাশ প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাতে চলে গেল। এখন এই অধীরবাবু ঠিক কোন তাস খেলেন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!