এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কেন ছাড়তে হয়েছিল তৃণমূল? মুকুল থেকে দুর্নীতি – একের পর এক বিস্ফোরণ সোমেন মিত্রের

কেন ছাড়তে হয়েছিল তৃণমূল? মুকুল থেকে দুর্নীতি – একের পর এক বিস্ফোরণ সোমেন মিত্রের

সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে বহু অজানা তথ্য ফাঁস করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সোমেন মিত্র। তিনি জানালেন চিটফান্ড নিয়ে তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দেওয়ার জন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। এমনকি মুকুল রায় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন বন্দরের জমি দূর্নীতির কথা কেন্দ্রকে জানানোর বিষয়টিও তৃণমূল কংগ্রেস দল মোটেও পছন্দ করেনি বলে জানালেন তিনি।

প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পরে রাজনীতি থেকে কার্যত স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছিলেন কংগ্রেসের এই নেতা। এছাড়াও মাঝের কিছুটা সময় অসুস্থতাজনিত কারণে অনুগামীদের থেকে কিছুটা অন্তরালেই ছিলেন তিনি। কিন্তু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে জল্পনা বাড়িয়ে এদিন তিনি ফেসবুক লাইভ করে আবারও প্রকাশ্যে এলেন। আর এসেই কার্যত একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটালেন রাজনীতির ময়দানের ‘ছোড়দা’।

সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে জানলেন কেন তিনি একদা দল পরিবর্তন করে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেছিলেন আর কেনই বা আবার কংগ্রেস দলে ফিরে গেলেন। কংগ্রেসের ছোড়দা এদিন ফেসবুক লাইভে বললেন, “সেইসময় রাজ্যজুড়ে চিটফান্ডে বহু গরীব মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। বিষয়টি দেখার জন্য ২০১১ সালের ২৭ জুলাই মনমোহন সিংকে চিঠি দিই। পরে মমতা বলেছিলেন তাঁকে না জানিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রীকে আমি চিঠি দিলাম। আমি বলেছিলাম, এটা রাজ্য সরকারে বিষয় নয় – এটা কেন্দ্রের বিষয়। কিন্তু মমতা চাইলে তিনি তাঁকেও এব্যাপারে জানাতে পারেন। পরে চিঠি দিয়ে ওনাকে সবকিছু জানিয়েছিলাম”।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সোমেন মিত্র এদিন ফেসবুক লাইভে আঙ্গুল তোলেন একদা শাসকদলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও। তিনি বলেন, “এছাড়া মুকুল রায় যখন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সেইসময় বন্দরের জমি নিয়ে দূর্নীতির কথা আমি জানতে পারি। সেটা কেন্দ্রকে এবং মুকুল রায়কে আমি জানিয়েছিলাম। সেইসময় আমার মনে হয়েছিল আমার অবস্থান দলে পছন্দ হচ্ছে না”।

তৃণমূল কংগ্রেস দলে থাকার অসুবিধার কথা জানিয়ে প্রবীন এই রাজনীতিবিদ বলেন, “তৃণমূলে থাকলে নিজের মতামত ব্যক্ত করা যায় না। তাই তৃণমূল ছেড়ে আমি কংগ্রেসে ফিরে এসেছিলাম”। তিনি আরও বলেন, “কিছু পাওয়ার লোভে তৃণমূলে যাইনি। অনেকেই বলে ক্ষমতা পাইনি বলে চলে এসেছি – কিন্তু, সত্যিটা তা নয়”।

তবে সোমেনবাবু একইসঙ্গে এটাও জানিয়েছেন যে, মমতা তাঁর সঙ্গে কখনও কটূ কথা বলেননি। তবে ফেসবুক লাইভে একের পর এক বোমা ফাটালেও – জানা যাচ্ছে এই লাইভ এদিন সেভাবে সফল হয় নি। মাত্র ৩৪-৩৫ জন দর্শক ছিলেন এই ফেসবুক লাইভে। এই লাইভ অনুষ্ঠানের দৈর্ঘ্য এক ঘন্টার বেশি সময় করার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও তা মাত্র ১২ মিনিটেই শেষ করতে হয় সোমেন মিত্রকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!