এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সোমেন মিত্র প্রয়াত হতেই তাঁর ৩৫ বছরের পুজোর ‘দায়িত্ব’ গেল হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের কাছে!

সোমেন মিত্র প্রয়াত হতেই তাঁর ৩৫ বছরের পুজোর ‘দায়িত্ব’ গেল হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের কাছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কলকাতার বিখ্যাত দুর্গাপূজো গুলোর মধ্যে একটি হলো কলেজ স্কোয়ারের পুজো। বিরাট আকারের সুসজ্জিত মন্ডপ, নয়ন মনোহর প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা, আর বিপুল দর্শকের ভিড় সবকিছু মিলে মিশে এক বিরাট আভিজাত্য আছে এই পুজোর। আর এই পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে সদ্য প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের নাম।দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ছিলেন এই পুজো কমিটির সভাপতি এবার তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

কলেজ স্কোয়ারের পুজো এবার ৭৩ বছরে পদার্পন করতে চলেছে। এ বছরেই জুলাই মাসের ৩০ তারিখে মৃত্যু হলো পূজা কমিটির সভাপতি সোমেন মিত্রের। যিনি একাধিক্রমে ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পুজোকমিটির সভাপতির দায়িত্বভার সামলেছেন। পুজো কমিটির তরফ থেকে গত ৬ ই সেপ্টেম্বর তাদের কর্মকর্তাদের জানানো হলো। যেখানে দেখা গেলো, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে এই পুজো কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে তিনি এর কার্যকরী সভাপতি ছিলেন।

সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে বড় একা হয়ে পড়েছেন তাঁর বন্ধু বাদল ভট্টাচার্য। বাদল ভট্টাচার্যের সঙ্গে সোমেন মিত্রের গভীর বন্ধুত্ব ছিল। সৌমেন মিত্রর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন তিনি। এই পুজোতে এতকাল দুজন মিলে গুরুদায়িত্ব সামলেছিলেন। পুজোর চিফ অর্গানাইজার রূপে বাদল ভট্টাচার্যে দীর্ঘকাল দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, গত ১৯৫৮ সালে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা পাস করার পর থেকেই এই পুজোর সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছিলেন। তারপর ৬০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। প্রিয় বন্ধুকে হারানোর পর এখন তিনি অত্যন্ত নিঃসঙ্গ বোধ করেছেন। বন্ধুকে হারিয়ে বাদল ভট্টাচার্য্য জানালেন, ”শরীর-মন ভাল নেই। সোমেন ছাড়া আমার নিজের অস্তিত্ব বলে কিছু নেই। কলেজ স্কোয়ারের পুজোর চিফ অর্গানাইজারের পদ ছেড়ে দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ছাত্র রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন বাদল ভট্টাচার্য। এসময়ে অন্য একটি কলেজের প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা পড়েছিল সুরেন্দ্রনাথ কলেজে। এই প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা দিতে এসেই সোমেন মিত্রর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস অফিসের পাঁচ তলাতে আছে বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। যার শীর্ষে আছেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্র। সম্প্রতি বাদল ভট্টাচার্য্যকে এই ট্রাস্টের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

অন্যদিকে কলেজ স্কোয়ার পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মজুমদার জানিয়েছেন, ” চিফ অর্গানাইজার পদে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে বাদলবাবু পুজোর সঙ্গেই রয়েছেন। পুজোতে সোমেন মিত্রের নামে স্টেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!