এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাহুল গিয়ে সোনিয়া ফিরলেন – হাসি চওড়া করছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা থেকে বিরোধীদের

রাহুল গিয়ে সোনিয়া ফিরলেন – হাসি চওড়া করছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা থেকে বিরোধীদের

একসময় অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী পদ সামলানো সোনিয়া গান্ধী নিজের ছেলে রাহুল গান্ধীর উপর কংগ্রেসের ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন। তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়া তো দূর অস্ত, উল্টে সংসদের বিরোধী দলের তকমা না পাওয়া কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কতটা পথ চলতে পারবে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

যার পরে সেই লোকসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার সমস্ত দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিতে চান রাহুল গান্ধী। তবে পদ থেকে যাতে রাহুল গান্ধী ইস্তফা না দেন, তার জন্য দিনভর নাটক দেখেছে গোটা ভারতবর্ষ। তবে নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন সেই রাহুল গান্ধী। সম্প্রতি গত শনিবার রাতে এই ব্যাপারে রাহুল গান্ধীর উত্তরসূরি কে হবেন, তা খোঁজবার জন্য কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল।

আর সেখানে একাধিক নাম কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি পদের জন্য উঠেছিল। যা মূলত গান্ধী পরিবারের বাইরেই ছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, হয়ত বা এবার এই প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে কংগ্রেসের সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু না, তা তো হলই না, উল্টে সোনিয়া গান্ধীকে অন্তর্বর্তী সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হল।

সূত্রের খবর, শনিবার রাতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পি চিদাম্বারাম বলেন, “ম্যাডামকেই দায়িত্ব নিতে হবে। আর কোন উপায় নেই।” কিন্তু এতেই দৃপ্তকণ্ঠে “না” বলে দেন সোনিয়া গান্ধী। তবে গান্ধী পরিবারের কাউকে যাতে সভাপতি করা না হয়, তার জন্য রাহুল গান্ধী বলে দিয়েছেন বলে জানান সেই গান্ধী পরিবারের আরেক সদস্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢ়রা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি নিজের মা সোনিয়া গান্ধীকে দেখিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, “উনি যদি রাজি হন, তাহলে কার কি করার আছে!” আর এই গোটা ঘটনায় আপত্তি তুলে এটা কোনোভাবেই হতে পারে না বলে জানিয়ে দেন এ কে অ্যান্টনি। আর এরপরই রাহুলের পরে সভাপতি পদের দৌড়ে থাকা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া সেই একে অ্যান্টনিকে বসতে বলে প্রশ্ন করেন, কেন ম্যাডাম দায়িত্ব নিতে পারবেন না!

এদিকে পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোরালো হওয়ায় অম্বিকা সোনি, কুমারী শৈলজা এবং আশা কুমারী আসরে নেমে সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করেন, “ম্যাডাম, আপনি ছাড়া গতি নেই। এই কঠিনতম সময়ে গান্ধী পরিবার ছাড়া আর কেউ কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারবে না। আপনি দায়িত্ব না নিলে দল ভেঙে যাবে।” আর এরপরই এই তিন কংগ্রেস নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে একে অ্যান্টনি বাদে বাকিরা সোনিয়া গান্ধীকেই দলের দায়িত্ব নিতে অনুরোধ জানান।

তবে অনেকে প্রশ্ন করছেন, এক সময় তিনি সিনেমা দেখতে চান, বই পড়তে চান বলে দলের সভাপতি পদ থেকে সরে এসে নিজের ছেলে রাহুল গান্ধীকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু বার্ধক্যে উপনীত হয়েও গান্ধী পরিবারের বাইরে বের হতে না পেরে সেই সোনিয়া গান্ধীকেই সভানেত্রী করল কংগ্রেস। এই সিদ্ধান্ত কি আদৌ ঠিক হল! ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিজেপির তরফে কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, “কংগ্রেসে মিউজিক্যাল চেয়ার চলছে।”

অন্যদিকে দেখে অবাক লাগে, এখনও কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি সোনিয়া এবং রাহুলকেই নেতৃত্ব হিসেবে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহান। তবে বিরোধীদের তরফে এই ব্যাপারে যতই খোঁচা দেওয়া হোক না কেন, কংগ্রেস সভানেত্রী পদে ফের সোনিয়া গান্ধী বসায় হাসি চওড়া হচ্ছে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতৃত্বদের।

এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “কংগ্রেস পুনর্গঠন করতে সোনিয়া গান্ধীর কাছে ফিরে যাওয়ার বিকল্প সব সময় ছিল। যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়, তখন মজবুত নেতৃত্ব প্রয়োজন। যা দলকে একজোট রাখবে।” অন্যদিকে বর্তমান সময়ে এটাই সব থেকে সেরা সিদ্ধান্ত।

সোনিয়া গান্ধীর অভিজ্ঞতা ও বোধ আমাদের পথনির্দেশে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। সব মিলিয়ে বিরোধীদের তরফে কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে সোনিয়া গান্ধীকে বসানো নিয়ে যতই খোঁচা দেওয়া হোক না কেন, সোনিয়া গান্ধী ফের কংগ্রেসের শীর্ষস্তরে বসায় খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!