এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > চলে গেলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

চলে গেলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়


বাংলা তথা ভারতীয় রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন – চলে গেলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা হেভিওয়েট বামনেতা সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। আজ সকালে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ৮৯ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ৪০ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১ লা আগস্ট বাড়ি ফেরেন তিনি।

কিন্তু বাড়ি ফেরার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই গত মঙ্গলবার পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ফলে পুনরায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দক্ষিণ কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানেই আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আদ্যন্ত মোহনবাগানী স্পষ্ট কথার এই রাজনীতিবিদ।

নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ আরও সঙ্কটজনক হতে থাকে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর চিকিৎসাকারী দল। সূত্রের খবর, ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর গত শুক্রবার থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, গতকাল থেকেই তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। চিকিৎসাকারী ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, তাঁর মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়েছিল। এমনিতেই সোমনাথবাবুর সিওপিডি ছিল, ফলে প্রবল শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও শুরু হয়েছিল। ফলে সবমিলিয়ে, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন ছিলেন তাঁর চিকিৎসাকারী দল ও পরিবার। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই উদ্বেগ বেড়েছিল রাজনৈতিক মহলেরও।

আর সেই আশঙ্কাকে সত্যিই করেই আজ অমৃতলোকের পথে চলে গেলেন বঙ্গ-রাজনীতির অন্যতম মহীরুহ এই নেতা। বর্তমান আসামের তেজপুরে ১৯২৯ সালের ২৫ জুলাই জন্মগ্রহন করেন তিনি। বাবা নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। পরে ভারতবর্ষে কমিউনিস্ট পার্টিকে ব্যান করা হলে জ্যোতি বসুর সাহচর্যে বাম রাজনীতিতে আস্থা রাখতে শুরু করেন নির্মলবাবু।

বাবার দেখানো পথেই ছেলে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একদিকে যেমন আইনকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন, অন্যদিকে তেমনই ধীরে ধীরে আস্থা রাখতে শুরু করেন বাম রাজনীতিতে। তাঁর বাবার মৃত্যুতে ১৯৭১ সালে বাম-সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় পা রাখেন। পরে ১৯৮৪ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ‘আনকোরা’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তারপর থেকেই পাকাপাকিভাবে বোলপুরের সাংসদ তিনি। ২০০৪ এর লোকসভা নির্বাচনে জিতে সাংসদ হওয়ার পর, সর্বসম্মতভাবে তিনি লোকসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!