মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের হোর্ডিং বিকৃত করে আইনি সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থক কলকাতা খেলা বিশেষ খবর রাজ্য July 18, 2018 মুখ্যমন্ত্রীর দুই ভাই অজিত ব্যানার্জি ও স্বপন (বাবুন) ব্যানার্জি ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবেই পরিচিত। দাদা অজিত ব্যানার্জিকে হারিয়ে আগেই বেঙ্গল অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মাথায় বসেছিলেন বাবুনবাবু। কিন্তু ইদানিং ডামাডোলের মোহনবাগানে হাল ধরতেও এগিয়ে এসেছেন তিনি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যখন বিদীর্ন শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবটি – তখন ক্লাবের ফুটবল সচিবের গুরু দায়িত্ত্ব কাঁধে নিয়েছেন তিনি। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর এই পদ পাওয়ার পরেই প্রায় গোটা কলকাতা মুড়ে গেছে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হোর্ডিঙে। শহরের যেকোন জনবহুল এলাকায় বা ব্যস্ত ফ্লাইওভারের মুখেই দেখা যাচ্ছে এই হোর্ডিং। যেখানে মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল সচীব (হ্যাঁ ঠিক পড়ছেন এই বানানটিই লেখা আছে, ‘সচিব’ নয়) হওয়ার জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। কিন্তু এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আর একটি ছবি ঘুরতে থাকে, যা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মোহন জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ওই ছবিটিতে দেখা যায় মোহনবাগানের ‘ব’ টি হয়ে গেছে ‘হ’। ফলে কোটি কোটি সমর্থকের আবেগ জড়িয়ে আছে যে ক্লাবের সঙ্গে সেই নামটি একটি অব্যবহার্য শব্দে পরিণত হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবের এই অসম্মানে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মোহন-জনতা। অনেকেই ভুল বুঝে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইকেই এই জন্য দায়ী করতে শুরু করেন। ক্লাবের নামে এই ভুল উনি করেন কি করে। কিন্তু তারপরেই মোহন জনতা আবিষ্কার করেন, এটি আসলে ফটোশপ করে করা হয়েছে এবং এই কুকীর্তিটির পিছনে সম্ভবত এল ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ফলে সাথে সাথে সেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের নামে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ জমা পরে। বিশেষ করে ফুটবল অন্ত প্রাণ বাঙালির কাছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান এই নামগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। সেখানে বিকৃতি ঘটা মানে সমর্থকদের কাছে তা মাতৃ-অপমানের সমতুল। তার উপরে সমগ্র ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইয়ের নাম জড়িয়ে গেছে – তাই সবমিলিয়ে জল বেশিদূর গড়ানোর আগেই কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশও ব্যাপারটির গুরুত্ত্ব বুঝে অতি সাবধানে মেপে পা ফেলছে। আপনার মতামত জানান -