এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সমস্ত বিরোধী দল থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য কাকুতি? দ্রুত বদলাচ্ছে উত্তরবঙ্গের চিত্র?

সমস্ত বিরোধী দল থেকেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য কাকুতি? দ্রুত বদলাচ্ছে উত্তরবঙ্গের চিত্র?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বা অন্যান্য দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরই সেই ছবিটা পাল্টাতে শুরু করেছে। এবার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে বিজেপি থেকে শুরু করে বামফ্রন্ট, এমনকি কংগ্রেসের বহু নেতাকর্মী আবার যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে।

অর্থাৎ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত নেতারা পালে হাওয়া পেতে যে আবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চাইছেন, তা তাদের উদ্যোগের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। বলা বাহুল্য, শিলিগুড়ি শহরে বামফ্রন্ট পরাজিত হওয়ার পরেই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ভবিষ্যতে এরকম আরও বহু নেতা ঘাসফুল শিবিরে পা বাড়াতে পারেন বলে আশা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যার ফলে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে।

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের নেতারা যোগদান করতে পারেন বলে দাবি করা হলেও, তা মানতে নারাজ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। তাদের দাবি, নির্বাচনে জয়লাভের পর চমক দেওয়ার জন্য তৃণমূল এই সমস্ত কথা বলে পরিস্থিতি নিজেদের দিকে রাখতে চাইছে। এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা বামফ্রন্টের অন্যতম নেতা তাপস গোস্বামী বলেন, “নীতি-আদর্শ ভুলে গিয়ে যারা পাওনা গন্ডার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, তারা দলবদল করবে।

তাতে বামফ্রন্টের কোনো সংকট হবে না।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শংকর মালাকার বলেন, “শতাব্দী প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। এই দলে আছি, থাকব। বিধানসভা ভোটের পর কিছু ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে।” অন্যদিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, “বিধানসভা ভোটে পরাজিত হওয়ার পর পৌরসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল এখন হাওয়া গরম করছে। আগে ওরা বিজেপিকে ভেঙে দেখাক, তারপর যা বলার বলব।”

অর্থাৎ তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রচুর মানুষ দলবদল করবেন বলে মনে করা হলেও, তা যে সম্পূর্ণ রূপে কল্পনা, তা বিরোধী নেতাদের কথা থেকে একবাক্যে পরিষ্কার হয়ে গেল।তবে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে কথাই বলুন না কেন, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাটট্রিকে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপিকে আটকানোর ক্ষমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারওর নেই। তাই মুখ্যমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি সহ বিভিন্ন দল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী তৃণমূলের শামিল হওয়ার আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতা রয়েছেন। এই ব্যাপারে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর তাদের দলে নেওয়া হবে বলে আশা করছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি সহ অন্যান্য দলে যোগদান করেছিলেন, তারা এখন তৃণমূলে ফিরে আসার ব্যাপারে সুর নরম করতে শুরু করেছেন। সারা রাজ্যজুড়েই এই আবহ তৈরি হয়েছে। আর তার মধ্যে শিলিগুড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত দাবি করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে বিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা যোগাযোগ রাখছেন।

যার ফলে দলবদল যে এখানে এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই ব্যাপারটি পরিষ্কার। তবে বিরোধী নেতাদের পক্ষ থেকে তা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শাসকদল এই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত। আর এই অবস্থায় কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, সত্যি সত্যিই তৃণমূল নেতাদের কথা মত বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে হেভিওয়েট নেতা ঘাসফুল শিবিরে পা বাড়ান কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!