এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী

সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল, তখন তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম তাকে কটাক্ষ করেছিলেন। নাম না করে তারা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কারো কোনো দাম নেই। শুধু তাই নয় অনেকের মুখে এটাও শোনা গিয়েছিল, এখন বড় বড় পদ আছে। তাই মানুষ সাথে আছে। বড় পদ না থাকলে কেউ সাথে থাকবে না। আর তৃণমূলের একাংশ যখন শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন, তখন তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

প্রথমে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায় তাকে। আর বৃহস্পতিবার সরাসরি তৃণমূল দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। তবে বুধবার যখন তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন, তখন বিধানসভা থেকে সরাসরি তাকে যেতে দেখা যায় পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডলের বাড়িতে। যেখানে কর্নেল দীপ্তাংশু থেকে শুরু করে জিতেন্দ্র তিওয়ারি মত নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আর বৃহস্পতিবার যখন দিনভর জল্পনা তৈরি হয়, ঠিক তখনই শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সমস্ত সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের ইস্তফা পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী। যার একটি প্রতিলিপি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকরকেও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দীপ্তাংশু চৌধুরী দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান ছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি নবান্নে যে গ্রিভ্যান্স সেল তৈরি হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তৃনমূলের এহেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব তথা সরকারি পদে একাধিক দায়িত্বে থাকা এই ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেটে যেভাবে তার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেন, তাতে তারাও এখন দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করবেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে একের পর এক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। তারপর শেষে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছেন। আর তার পথে হেঁটেই কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী থেকে শুরু করে জিতেন্দ্রনাথ তিওয়ারি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। ভবিষ্যতে দলের সঙ্গেও দূরত্ব বজায় রেখে দল থেকেও তাদের সরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করছেন একাংশ।

জানা গেছে, এদিন দুপুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই ইস্তফা পত্র পৌঁছে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই একদিনে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে কর্নেল দীপ্তাংশু এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারির ইস্তফাপত্র তৃণমূল নেত্রীর কাছে পৌঁছনোয় ঘুম উড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তবে শুধুমাত্র যে এই দুই তৃণমূল নেতা ইস্তফা দিয়েই ক্ষান্ত থাকবেন না, তা কার্যত পরিষ্কার।

শুভেন্দু অধিকারী পথে হেটে যেভাবে কর্নেল দীপ্তাংশুর মত জনপ্রিয়তম ব্যক্তি নিজেকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে নিলেন, তাতে শাসকদলের সমস্যা দ্বিগুণভাবে বাড়বে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!