সম্পূর্ণ অন্ধকারে পিএফ অ্যাকাউন্টের হিসেব পাচ্ছেন না শিক্ষকরা, এবার বড়সড় বিপাকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা! উত্তরবঙ্গ রাজ্য December 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রায় প্রায় সাত হাজার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করল। স্বাভাবিকভাবেই এক একজনের পিএফ একাউন্ট ঠিক কত করে টাকা জমা আছে, সেই বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে অন্ধকারে রয়েছেন সেই সমস্ত শিক্ষকরা। যার ফলে তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতি বছর নিয়ম অনুসারে শিক্ষকদের পিএফ একাউন্টের আপডেট জানার কথা। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলায় 10 বছরের বেশি সময় ধরে কেউ কেউ তার হিসেব নেই। তবে অনেকে হিসেবে পেলেও তাতে যথেষ্ট ভুল রয়েছে। যার ফলে এই জেলার প্রাথমিক শিক্ষকরা সম্পূর্ণরূপে অন্ধকারে রয়েছেন বলে দাবি একাংশের। তাই এই পরিস্থিতিতে যাতে দ্রুত গোটা অবস্থা তাদের কাছে পরিষ্কার করা হয়, তার জন্য দাবি জানাতে শুরু করেছেন সেই সমস্ত শিক্ষকরা। দপ্তরের একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই হিসাব দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কয়েক বছরের বকেয়া হিসেবে দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েক বছরের হিসেব বাকি রয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, “2009 সাল থেকে পিএফের হিসেবে পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা সংগঠন থেকে চাপ দেওয়ার পর গত বছর 2014 সাল পর্যন্ত এই হিসেব দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। এখনও ছয় বছরের হিসেব দেওয়া বাকি আছে। কিছুদিন আগেই আমরা দপ্তরের সমস্ত সার্কেলে বিষয়টি নিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছেও দাবি জানিয়েছি।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ব্যাপারে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায় চৌধুরী বলেন, “গত বছর শিক্ষাদপ্তর কয়েক বছরের পিএফের হিসাব দিয়েছে। কিন্তু তাতে অনেক ভুল আছে। সবাইকে সেই হিসেবে দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটছে। আমরা বহুবার এই ব্যাপারে দাবি জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।” কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে! কোভিড পরিস্থিতির ফলে 100% কর্মী নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে এই কাজে সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দীপক ভক্ত। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যেভাবে শিক্ষকরা এই ঘটনার জন্য তাদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন, তাতে অস্বস্তি বাড়ছে জেলা প্রশাসন কিংবা রাজ্য সরকারের। পিএফ অ্যাকাউন্টের হিসাব থেকে যেভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে শিক্ষকদের, তাতে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে জেলাজুড়ে। যার ফলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্যের শাসক দল। আর গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের কাছে তাদের পিএফ একাউন্টের বর্তমান পরিস্থিতি পরিষ্কার করতে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -