এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > বাবার হাত ধরে বঙ্গ-রাজনীতি মাতাতে আসছেন আরেক তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীপুত্র

বাবার হাত ধরে বঙ্গ-রাজনীতি মাতাতে আসছেন আরেক তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীপুত্র

বিদেশে পড়াশোনা করার পর নিজেদের কেরিয়ার ছেড়ে দেশে ফায়ার এসে বাবার পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া এটা কোনো নতুন বিষয় নয়। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র পঙ্কজ।কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথ বাবুর বয়স হয়েছে, জেলার নানা কাজ দেখাশোনা সহ দফতরের কাজে প্রায়শই তাঁকে শিলিগুড়ি- কলকাতা আসা যাওয়া করতেই হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছে।তাই ছেলেই বেশীরভাগ কাজ করছেন। এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “সময় হয়ে ওঠে না সব জায়গায় যাওয়ার। ছেলে যাচ্ছে সব জায়গায়। সবার আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়াচ্ছে। তাঁর কাছ থেকেই আমি সব খবর পেয়ে যাচ্ছি। এটা একটা ভরসা তো বটেই।” নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার পর আমেরিকাতেই চাকুরীরত ছিলেন পঙ্কজ। সব ছেড়ে তিনি চলে আসেন কোচবিহারের বাড়িতে।

আরো নতুন খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

জানা গেছে তিনি প্রতিদিন সকালে বাবার হয়ে নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে যান এবং সেখানে নানা বৈঠক, আলোচনা করেন। সম্প্রতি রাজ্যের শাসক দল তাঁকে কোচবিহারের এসসি, এসটি, ওবিসি সেলের সহ সভাপতি ও কোচবিহার কালচারাল ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে। এবিষয়ে পঙ্কজবাবু জানান, “বাবাকে চারদিকে ছুটতে হয়। অনেক কাজ। সেই কারণে আমি এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে খোঁজখবর রাখি। কোথায় কী প্রয়োজন তার খোঁজ রাখছি। যে সব কাজ হচ্ছে তা ঠিকমতো দেখি। সব বাবাকে জানিয়ে দিই। এ ভাবে অবশ্য মানুষের সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তা ভালও লাগছে। তবে সে ভাবে রাজনীতি এখনও করি না।” তিনি আরো বলেন, ”বাবা-মায়ের বয়স হয়েছে। শরীর ভাল যাচ্ছে না। তাঁদের কাছেই থাকতে চাই।” রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, ”সব মিলিয়ে ছেলে পাশে থাকুক তেমনটাই অনুভব করছিলাম। ও ফিরে আসাতে ভালই হল।” তবে পুরোনো পন্থা অনুযায়ী বাবা- ছেলের দ্বন্দ্ব এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!