এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সোনালী, সরলার পর আরও এক হেভিওয়েট নেতার তৃণমূলে ফেরার আবেদন, আপত্তি জেলা নেতৃত্বের!

সোনালী, সরলার পর আরও এক হেভিওয়েট নেতার তৃণমূলে ফেরার আবেদন, আপত্তি জেলা নেতৃত্বের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর এবং রাজ্যের তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেন। যার মধ্যে অন্যতম সোনালী গুহ থেকে শুরু করে সরলা মুর্মু, অমল আচার্য থেকে শুরু করে বাচ্চু হাঁসদার মতো একাধিক নেতা নেত্রী রয়েছেন, যারা এখন তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করছেন। যদিও বা ভোটের আগে যারা দলকে বিপাকে ফেলে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের যাতে কোনোভাবেই গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য তৃণমূলের বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন করা হচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন কোচবিহার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষন সিংহ। যেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তৃণমূল কংগ্রেসের যুক্ত হওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন এই বিজেপি নেতা। তবে অন্যান্যদের মত এই নেতাকেও যাতে দলে গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভূষণবাবু তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, জেলা নেতৃত্ব যেভাবে তার দলে অন্তর্ভুক্ত নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন, তাতে কোচবিহার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এখন রাজনৈতিক অক্সিজেন না পাওয়ার অভাবে চাপে পড়ে যেতে পারেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়ে আবেদন জানিয়েছেন ভূষণ সিংহ‌। একসময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসেই ছিলেন। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে গেরুয়া শিবিরের নাম লেখান তিনি। তবে আবার বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে এখন নিজের পুরাতন দল তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ভূষণবাবু। তবে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দলে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারে আবেদন করে চিঠি পাঠালেও, জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাতে আপত্তি জানানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তার জেরেই ব্যাপক চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনি। যেখানে জেলা নেতৃত্বের আপত্তি রয়েছে, সেখানে রাজ্য নেতৃত্ব চাইলেও তাকে দলে যুক্ত করা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। পাশাপাশি ভোটের আগে যারা দলকে বিপাকে ফেলে অন্য দলে নাম লিখিয়েছেন, তাদেরকে গ্রহণ করার ব্যাপারে যে তৃণমূল অতটা নমনীয় মনোভাব দেখাবে না, সেই ব্যাপারটিও অনিশ্চিত বিশেষজ্ঞদের কাছে। তাই অন্যান্য নেতা, নেত্রীদের মত ভূষণ সিংহের বিষয়টিও কার্যত অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভূষণ সিং বলেন, “তৃনমূলে ফেরার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছি। নেত্রী ফেরালে পুনরায় তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চাই।” তবে ভূষণ সিংকে যাতে গ্রহণ করা না হয়, তার পক্ষেই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে। এদিন তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেক তৃণমূল নেতা ভেবেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। তাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। বিজেপি হেরে যাওয়ায় এখন আবার তারা তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরতে চাইছেন। এদের ফেরালে লাভের থেকে দলের ক্ষতিই বেশি হবে। তবে দলনেত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক নেতা, নেত্রী বিজেপিতে নাম লেখানোর কারণে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে তৃতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ভোটের আগে তাদের দলে যাওয়া নেতা-নেত্রীরা আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন। তবে তৃণমূল এখন সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের গ্রহণ করা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে নারাজ। যার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছেন দলবদলকারীরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, অন্যান্য নেতা নেত্রীদের মত ভূষন সিংহের ক্ষেত্রেও এক সিদ্ধান্ত বজায় রাখে তৃণমূল, নাকি তাকে দলে গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!