সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব –10, কলমে – অপরাজিতা অন্যান্য গল্পে-আড্ডায় July 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া – চন্দ্রেয়ী বুঝতেই পারেনি কখন ফ্লাইটটা টেক অফ করেছে। বাড়িঘর এখনো দেখা যাচ্ছে খুব ছোট ছোট , ভয় যে করছে না তা নয়, কিন্তু ভালোও লাগছে বেশ। ঈশান – কি হলো? এখনো ভয় করছে ? চন্দ্রেয়ী – না ঈশান – ভয় পাচ্ছিলে কেন? কি হতো ? চন্দ্রেয়ী – ফের শুরু করলে? ঈশান – ওকে বলবো না, ব্যাট বললে না কি করবে। চন্দ্রেয়ী – জানিনা। ঈশান – এখনো বলছি, কাল সিএম ও তোমাকে বললো যদি তুমি বিয়ে না করতে চাও সিএম এর বাড়িতে থাকতে পারো। সিএম নিজেও পালিয়ে বিয়ে করেছে সো নো চাপ। ভেবে দেখো। চন্দ্রেয়ী – পালিয়ে বিয়ে ? চন্দ্রেয়ী – জিজ্ঞাসা করবে ঈশান – এবার বলো। কবে কোথায় যাবো , নাকি আজকেই পালাবে চন্দ্রেয়ী – ফের ঈশান – বেচারা ইগোপূর্ণ চন্দ্রেয়ী – বেচারা ? ঈশান – হুম ,এ জানেওনা যে কি নিয়ে ঘর করতে যাচ্ছে ,যাই হোক ছেলেটা বেঁচে যেত তুমি পালালে, বাট ওর কপালে দুঃখ আছে। সবই কপাল। চন্দ্রেয়ী – হয়ে গেছে, মুখটা বন্ধ করলে ভালো হয় আর কিছু বলেনি ঈশান, খুব ঘুম পেয়েছিলো চন্দ্রেয়ীর ,ঘুমিয়ে গিয়েছিলো, ল্যান্ড করার কিছুক্ষন আগে ঘুম ভেঙেছিল। দেখেছিলো ঈশানের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে, সরে গিয়েছিলো। নামার আগে ঈশান চন্দ্রেয়ীকে বলেছিলো – সত্যিই চলে যাবে? বিয়েটা করবে না তো ? চন্দ্রেয়ী কিছু বলার আগেই ফের বলেছিলো – যখন মনে হবে, কোনো দরকার হলে কল করো,বলেই মুখটা ঘুরিয়ে নিয়েছিল। চন্দ্রেয়ীর এই প্রথমবার ওর কথাগুলো তীরের মতো বিঁধছে বুকে। প্রথমবার ওর গলার স্বরটা অন্যরকম লেগেছিলো চন্দ্রেয়ীর। কিছু বলেনি। সবাই একে একে নামছিলো ফ্লাইট থেকে চন্দ্রেয়ীও উঠে পড়লো সীট থেকে তখনও ঈশান বসে ছিল। চন্দ্রেয়ী বললো – উঠো , ঈশান – আসছি চন্দ্রেয়ী ফ্লাইট থেকে নামার আগেও দেখেছে ও বসে আছে। কি করছে ? ওরিতাম্দাকে বলেছিলো -ঈশান নামেনি ,প্রীতমদা কথাটা উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলো – ওর কথা বাদ দে ,ঠিক চলে আসবে আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আমাদের সব গল্প পড়তে হলে আমাদের পেজে – গল্পে আড্ডায় ক্লিক করুন, ওখান গল্পের আগের সব অংশ পেয়ে যাবেন। চন্দ্রেয়ীর মাথা থেকে চিন্তা যায়নি। লাগেজ কালেক্ট করার সময়ও দেখছিলো, খুঁজছিলো কোথায় গেলো। পিছিন থেকে – আমারকে খুঁজছো? মিস করছো ? কোথা থেকে এলো? চন্দ্রেয়ীরা যে রাস্তা ধরে এসেছে সেদিকেও তো তাকিয়ে ছিল, দেখতে পায়নি তো। ঈশান – সংযুক্তা তোমাকে কল কএ রতে বললো, তোমার ফোন পাচ্ছে না ? চন্দ্রেয়ী – তোমাকে বলেছে ? ঈশান – হুম চন্দ্রেয়ী – এই যে বললে ব্রেক আপ হয়ে গেছে ? ঈশান – হয়ে গেছে তো, আমরা এখন জাস্ট ভালো বন্ধু। চন্দ্রেয়ী – তোমার আজ পর্যন্ত কতজনের সাথে এমন প্রেম আর ব্রেক আপ হয়েছে। ঈশান – গুনে বলতে হবে। টাইম লাগবে। চন্দ্রেয়ী – মাথা নেড়ে চলে যাচ্ছিলো ঈশান – আমি সিরিয়াসলি ফ্রি আছি। চলো পালাই। অসম্ভব, এই ছেলে আর সিরিয়াস , চন্দ্রেয়ী আবার ভুল ভাবছিলো। আপনার মতামত জানান -