এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব -5 , কলমে – অপরাজিতা

সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব -5 , কলমে – অপরাজিতা


মন ভালো ছিল না চন্দ্রেয়ীর, আর মাত্র ১ মাস তারপরেই বিয়ে। এদিকে প্রোগ্রাম ও খুব কাছেই, ১ উইক বাদেই যাওয়া, সব গোছগাছ হয়ে গেছে। মায়ের ইচ্ছা ছিল না পাঠানোর বিয়ে ঠিক যখন আর ওসব দরকার নেই, কিন্তু সব সেট হয়ে গেছে, এখন নতুন করে না বললে চৈতালিদি অসুবিধায় পরে যাবে।অগত্যা হ্যাঁ বলতে হয়েছে।

মেসে গেছে কিন্তু কাউকে কিছু বলেনি, চলছিল যেমন চলছে। সন আর সংযুক্তার প্রেম প্রেম খেলা, সংযুক্তার সাথে কথা বলা। এখন আবার নতুন ঢং শুরু হয়েছে সন কদিন চন্দ্রেয়ীকে গোল্ডেন , ডিয়ার বলতে শুরু করেছে। চন্দ্রেয়ী সাজিয়েছে, – না আমি সোনা, না আমি তোমার প্রিয় , সো গোল্ডেন, ডিয়ার এইসব একদম আমাকে বলবে না। সংযুক্তাকে বলবে। সেই নিয়েই সেদিন জোরে জোরে সংযুক্তা আর সন কথা বলছিলো, ন্যাকামো করছিলো। জোরে চেঁচিয়ে উঠলো চন্দ্রেয়ী।

একটু চুপ করবি, সবার লাইফে তোদের মতো আনন্দ নেই, প্লিজ।

রাগ করে চন্দ্রেয়ী, কিন্তু এইভাবে রিএক্ট করেনি কোনোদিন, কিছু হয়েছে বুঝেছে সংযুক্তা। প্যনে কেটে দিয়েছে।
চন্দ্রেয়ী প্রথমে কিছু বলতে না চাইলেও পরে বলেছে সবটাই, চায় না বিয়ে করতে।
চিন্তা বেড়েছে সংযুক্তার ও। আর এক জনের ও কানে গেছে কথাটা। না সে কিছু বলেনি। কিছু যে হয়েছে বুঝেছিলো সন, রিহার্সালে চন্দ্রেয়ী কি যেন ভাবছে , আনমনা, গানে বার বার ভুল করছে, তাল কাটছে। চৈতালীদিও ঘাঁটায় নি ওকে। শুধু সুভমকে বলেছে বাইকে করে মেসে পৌঁছে দিতে আপত্তি করেনি চন্দ্রেয়ীরও, মেসে ফিরে গেছে তাড়াতাড়ি।

দুদিন পরে ওদের প্রোগ্র্যাম এ ব্যাঙ্গালোর যাওয়া। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরবে। যাওয়া ট্রেন এ ফেরা ফ্লাইটে। গোছগাছ সব হয়ে গেছে, কিন্তু মন ভালো নেই চন্দ্রেয়ীর।

ঠিক টাইমে স্টেশনে পৌঁছেছে সবাই , দেখা নেই সনের। ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। চৈতালিদি যথারীতি টেমশন করছে। বাকিদের মুখে বিকার নেই , কেননা আজ শোনা গেলো প্রত্যেকবার একই করে, এবারেও নতুন কিছু তো হয়নি যে আলাদা করে আগে চলে আসবে। ট্রেন দিয়ে দিয়েছে, সবাই উঠেছে না এখনো দেখা নেই সনের।

চৈতালিদি – উফফ ছেলেটা পাগল করে দেবে।

প্রীতমদা – শোনো একটা বিয়ে দিয়ে দাও তাহলে দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।

চৈতালিদি – একটা ফোন কর না।

একপাশের নিচে সিটটা চন্দ্রেয়ী নিয়েছে ব্যাগগুলো ঠিক করে রাখছিলো, শুনতে পেলো – সাইড প্লিজ

গলাটা চিনতে ভুল হয়নি। বুজেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাকিয়েই থমকে গেছে, সত্যি চিনতে পারেনি , একমুখ দাড়ি গোফ থাকা মুখ, কাঁধ পর্যন্ত চুল, সেই অদ্ভুত টি শার্ট রুদ্রাক্ষের মালা কিছু নেই। একটা ফুল শার্ট হাত গোটানো, জিন্স পড়েছে। এতদিন যে সনকে দেখেছিলো তার সাথে এর কোনো মিল পাচ্ছে না।

শুভম – দিদি, ওই যে এসেছে তোমার আদরের দুলাল।

চন্দ্রেয়ী হা করে দেখছিলো। রীতিমতো হ্যান্ডসম, ঠিক দেখছে তো।

লুক পাল্টালেও স্বভাব যায় না মোলে – চন্দ্রেয়ীর দিকে ঝুকে – এমন তাকিয়ো না , আমার লজ্জা করে, আর যদি এতই পছন্দ হয় বলো সংযুক্তার সাথে ব্রেক আপ করে নিচ্ছি।

চন্দ্রেয়ী মুখটা ঘুরিয়ে নিয়ে সীটে বসে পড়লো।

চৈতালিদি – এই তো একটু ভদ্র সভ্য থাকলে তো বেশ ভালো দেখায় , তা নয়। এতক্ষন কোথায় ছিলি।

সন – জঙ্গল সাফ করছিলাম।

চন্দ্রেয়ীর উপরের সিটটা তে শুভম ব্যাগ রেখেছে, সেটা দেখে শোন্ – এটা কার?

শুভম – আমার

সন নিজের ব্যাগ গিটারটা ওখানে রেখে শুভমকে ব্যাগটা দিয়ে ইশারা করলো মহুয়ার দিকে। একটা কথা বলা হয়নি মহুয়াদির প্রেমে পড়েছে শুভম। কিন্তু বলতে পারে না। শুভম দাদা বলা পছন্দ করে না। তার ছোট হয়েও নাম ধরেই ডাকতে হয় চন্দ্রেয়ীকে।

কিন্তু এবার ওকে সারাক্ষন আবার সহ্য করো। শান্তি নেই। একে ভাবলো নিজের মতো একটু থাকবে , কিছু ভালো লাগছে না কিন্তু হবে না, খুব ভালো করে জানে ইচ্ছা করে জ্বালাবে।অসহ্য একটা।

ট্রেন নিজের মতো চলছে। রাত হয়েছে খোওয়া দাওয়াও। না এতক্ষন ছোটোখাটো ইশারা ছাড়া চন্দ্রেয়ীকে আর কোনো ডিসটার্ব করেনি সন। হয়তো চেষ্টা করেছে কিন্তু চন্দ্রেয়ী ডুবে আছে নিজের মধ্যে খেয়াল করেনি।

 

অনেক কিছু কথাবার্তা হচ্ছে ইয়ার্কি, মজা ,চন্দ্রেয়ী শুধু নিজের মতো একা বসে আছে , সন এসে পশে বসতেই ঘর ভাঙলো। কেননা সে আস্তে আস্তে কোনো কাজ করার মানুষ নয়।

জানালার বাইরের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে চন্দ্রেয়ীকে বললো – কি সুন্দর ওই বাড়িটা দেখতে পাচ্ছ?

চন্দ্রেয়ী বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখতে পেলো না। বললো – বাড়ি এই অন্ধকারে ?

সন – তুমি বাইরের দিকে ঐরকম মনোযোগ দিয়ে দেখছিলে? তাই জানতে চাইলাম।

চন্দ্রেয়ী আর কোনো সাড়া দিলো না , লাভ নেই আর ইচ্ছা করছে না।

সন – রাত্রে কি করছো?

চন্দ্রেয়ী – সবাই যা করে, ঘুমাবো কেন?

সন- না এমনি গল্প করতাম।

চন্দ্রেয়ী – তোমার লজ্জা করে না,

সন – কিসের?

চন্দ্রেয়ী – প্লিজ, একটু একা থাকতে চাই,

সন – আরে, লজ্জা কি নিয়ে বলবে তো ?

চন্দ্রেয়ী – প্লিজ

আর কথা বাড়ালো না সন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!