সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব – 6, কলমে – অপরাজিতা অন্যান্য গল্পে-আড্ডায় June 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া- বাইরে থেকে ঈশানকোন, প্রদীপ, নিয়ে কিছু একটা কথা শোনা গেলো , সব কিছুকে ছাপিয়ে চন্দ্রেয়ীর কানে ঈশান নামটা পৌঁছালো। ঈশান ! ট্রেনে টিকিট চেকিং এর সময় সনের আসল নাম জানা গেছে। ঈশান – থেকে শান সেটা কেটে ছেঁটে শুধু সন যখন টিটি ঈশান এর কথা জিজ্ঞাসা করেছিল, চৈতালিদি বলেছিলো আসছে। চন্দ্রেয়ী – ঈশান কে ? প্রীতমদা – যার সাথে তুই দিনরাত ঝগড়া করছিস। চন্দ্রেয়ী – কে? সন – ব্যাগটা নিয়ে টিকিট বের করতে করতে বললো ভূত। আচ্ছা ও কি প্রথমদিন সত্যিই বলেছিলো আমাকে সূর্য বলে ডাকে। ঈশান থেকে সান – সান মানে তো সূর্যকেই বোঝায়। হয়তো হ্যা হয়তো না। সেদিন ও প্রশ্নটা এসেছিলো চন্দ্রেয়ীর মনে পাত্তা দেয়নি। কেননা পাত্তা দেওয়ার মতো কিছু হয়নি, নাম মিলিয়ে মিলিয়ে নাম সবাইকে বলে, এটা লেগে গেছে। সেদিন সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিল চন্দ্রেয়ীও শুয়ে পড়েছিল, ঘুম আসেনি। কোনো এক স্টেশনে ট্রেন থামলো, তখন রাত ১.৩০ – ২.০০ হবে। উঠে বসে জানলার পর্দা সরিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল চন্দ্রেয়ী। দু একজন ছাড়া কেউ কোথাও নেই। হঠাৎ চোখ পড়লো, ঈশান নেমেছে ট্রেন থেকে , এত রাত্রে,সত্যি কিছু প্রব্লেম আছে। না, শুধু নামেনি, স্টেশনের একটা বেঞ্চে গিয়ে শুয়ে পড়লো, এর কি কোনো কমন সেন্স নেই, যদি ট্রেন ছেড়ে দেয়, আর এ সি ২ টিয়ারে ঘুম আসছে না, স্টেশন এর ওই বেঞ্চে গিয়ে শুতে হবে। সত্যি আজব একটা। মুখ বেকালো চন্দ্রেয়ী। আমাদের সব গল্প পড়তে হলে আমাদের পেজে – গল্পে আড্ডায় ক্লিক করুন, ওখান গল্পের আগের সব অংশ পেয়ে যাবেন। কিছুক্ষন পর হর্ন দিলো,চন্দ্রেয়ী বাইরে তাকিয়ে দেখলো এখনো শুয়ে আছে সে, ট্রেন ছাড়লো, একি ট্রেন মিস হয়ে যাবে তো। উঠে পড়লো। চপ্পল পায়ে দিয়েই খুব তাড়াতাড়ি ছুটলো ওদিকের ট্রেনের দরজায়। ট্রেন চলতে শুরু করেছে, চন্দ্রেয়ী দরজা ধরে একটু বাইরে উঁকি দিলো না বেঞ্চে আর নেই। কোথায় গেলো ট্রেনে উঠেছে? ভগবান জানে, গিয়ে দেখবে? না থাকলে সবাইকে ডেকে তুলবে। ঘুরলো চন্দ্রেয়ী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পিছনেই দাঁড়িয়েছিল ঈশান, চন্দ্রেয়ী হটাৎ দেখে ভয় পেয়ে একটু ছিটকে সরে গেলো, হাতটা স্লিপ করে গেলো,আর একটু হলেই পরে যাচ্ছিল ট্রেন থেকে, ঈশান হাতটা ধরে টান দিলো, চন্দ্রেয়ী ঈশানের বুকের উপর পড়লো, ১ সেকেন্ডের জন্য সব ব্ল্যাঙ্ক হয়ে গিয়েছিলো চন্দ্রেয়ীর, ভেবেছিলো পরে গেছে, ভয়ে গোটা শরীর কাঁপছিলো ওর, ঈশানকে জড়িয়ে ধরেছিলো। ট্রেন তার মতো চলতে লাগলো. সে জানে না তার মধ্যের কোনো এ সি টু টিয়ারের দরজায় দুটো প্রাণী একে অপরকে জড়িয়ে আছে। কিছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলো চন্দ্রেয়ীর। ঠেলে সরিয়ে ভেতরের দিকে হাঁটা লাগলো, পিছনে সন, সন – আমাকে ফলো করছিলে ? চন্দ্রেয়ী – না সন – তাহলে দরজায় কি করছিলে ? চন্দ্রেয়ী – আমার ইচ্ছা হয়েছিল দাঁড়িয়েছিলাম, তোমার কি? সন – আস্তে, লোকে ঘুমাচ্ছে। আচ্ছা তুমি তারমানে সুইসাইড করতে গিয়েছিলে? চন্দ্রেয়ী – হোয়াট ? সন – আমি না ধরলে তুমি ঝাঁপ দিতে ? চন্দ্রেয়ী – এই শোনো, একদম ফালতু বকবে না বলে দিচ্ছি। তোমার জন্য আমি পরে যাচ্ছিলাম। সন – আমার জন্য? আমি তো ধরলাম, চন্দ্রেয়ী – তুমি ঐভাবে পিছনে দাঁড়িয়েছিলে আমি দেখে ভয় পেয়ে পরে যাচ্ছিলাম। সন -শোনো আমাকে মিথ্যা বলে কি হবে ?দেখো বিয়ে না করার হলে করবে না তারজন্য সুইসাইড করার কি আছে। চন্দ্রেয়ী – তোমাকে কে বললো এসব ? উফফ সংযুক্তা। তোমাদের কি কাজ নেই, শুধু আমাকে নিয়ে আলোচনা করা ছাড়া। সন – আমি বলি কি পালাও, মানে এখান থেকে আর বাড়ি ফিরো না বলতে বলতেই চন্দ্রেয়ীর সীটের একদিকে বসে পড়লো। চন্দ্রেয়ী- নিজের সীটে যাও, আমি ঘুমাবো। সন – তুমি এখন ঘুমাবে না আমি জানি। চন্দ্রেয়ী- তুমি যাবে ,নাকি আমি চেঁচাবো ? সন – একটা ভালো সাজেশান দিচ্ছিলাম চন্দ্রেয়ী – দরকার নেই, সন – শোনো ওই ইগোপূর্ণ কে বিয়ে করলে জীবনটা কয়লা হয়ে যাবে। সো পালাও। চন্দ্রেয়ী – ইগোপূর্ণ কে? চন্দ্রেয়ী সীটের আর একদিকে বসে পড়লো। সন – যার সঙ্গে তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। চন্দ্রেয়ী – ওর নাম অপূর্ব সন – একটা মেয়ে না করেছে বলে ইগো থেকে বিয়েতে হ্যা বলে যে তার নাম ওই ইগোপূর্ণ ঠিক আছে। চন্দ্রেয়ী – তুমি উঠবে ? সন – আমি বলছি শোনো চন্দ্রেয়ী – আমি এবার সত্যি চেঁচাবো। উঠে গেলো সন সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব – 5, কলমে – অপরাজিতা পরের পর্ব আসছে। ………… আপনার মতামত জানান -