সোনার হরিণ চাই – ( লাভ স্টোরি ) – পর্ব – 9, কলমে – অপরাজিতা অন্যান্য অপরাজিতা গল্পে-আড্ডায় June 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –চন্দ্রেয়ী যে ঘরে সাজছিলো সেখানে এক ঠাকুমা এসেছেন , তিনি নাতনিকে দেখে খুব প্রশংসা করলেন। এত ভালো ঘরে বিয়ে হচ্ছে ভীষণ খুশি ,বার বার বলছেন সেই কথা। এত কথার মাঝে তিনি বললেন – দাদুভাই তো আবার এরোপ্লেনে ছাড়া যাওয়া আসা করে না, দিদিভাই ও তো এরোপ্লেনে চাপবে। খুব ভালো চন্দ্রেয়ী ফ্লাইটে চাপতে ভয় পায়। মনে হয় যদি ফ্লাইট ক্ল্যাস করে যায়, আগুন লেগে যায়। ওদের বেঙ্গালুরু যাওয়াটা ট্রেনে হলেও আসাটা ফ্লাইটে ছিল। চৈতালিদিও খুব ভয় পায় ফ্লাইটে, যে কারণে ট্রেন ছাড়া বাইরে কোথাও পোগ্রামে যায়নি। দেশের বাইরেও যায়না শুধুমাত্র ফ্লাইটে চাপতে হবে বলে। কিন্তু এবারে নিরুপায়। কেননা প্রোগ্রামের পরের পরের দিন চৈতালিদির শাশুড়ির বাৎসরিক , ট্রেনে এলে হবে না। প্রোগ্রাম খুব ভালো হয়েছিল ওদের , সবাই খুব প্রশংসা করেছে , চন্দ্রেয়ীরর গান ও ভালো লেগেছিলো সবার। পরের দিন দুপুরে ফ্লাইট ছিল। ও তার ,মাঝেও ঈশান ক্রমাগত চন্দ্রেয়ীকে একটা কথাই বলে গেছে – “পালাও ” চৈতালিদি খুব টেনশন করছিলো এয়ারপোর্টে ঢুকে থেকেই। সবাই মিলে রাগাচ্ছিলো, ঈশান আরো বেশি। ফ্লাইটের সীটে জানালার ধারে ঈশান বসলো তার পাশেই চন্দ্রেয়ী। চেঞ্জ করা যেত কিন্তু প্রীতমদা বসিয়ে দিলো। আবার সারাক্ষন মাথা খাবে। কিন্তু এখন আর ওর কথাগুলোএতটা খারাপ লাগে না চন্দ্রেয়ীর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সামনের সীটে চৈতালিদি বসেছে। সমানে মজা করছে ঈশান, সবাই বোঝাচ্ছে -কি হবে তবুও চৈতালিদি টেনশন করছে। ঈশান বলে উঠলো – অরে এত ভয় কিসের কি হবে ? ক্ল্যাস করে যাবে নাকি ? যদি হয় বুঝতেও পারবে না ,সোজা স্বর্গে পৌঁছে যাবে এত টেনশন করো না। চন্দ্রেয়ী – চুপ করবে তুমি ? ঈশান – তুমিও ? সিরিয়াসলি চন্দ্রেয়ী – এত বাজে বকো কেন? ঈশান- হেসে উঠলো – আচ্ছা কি হবে ? চন্দ্রেয়ী – কিছু হবে না , চুপ করবে ঈশান – সিট্ বেল্ট বাঁধো প্লেন চলতে শুরু করলো, চন্দ্রেয়ী নিজের হাতে রাখা বইটা চেপে ধরলো , ঈশান ওকেই দেখছিলো। ঈশান – তোমার ইগোপূর্ণ তো বাইরে থাকে, সেখানে কি ট্রেনে যাবে? বড় বড় লোকের বড় বড় ব্যাপার শুনলাম ফ্লাইটে ছাড়া যাতায়াত করে না। চন্দ্রেয়ী – সংযুক্তা এটাও বলেছে ? ঈশান – তখন কি করবে ? আমাদের সব গল্প পড়তে হলে আমাদের পেজে – গল্পে আড্ডায় ক্লিক করুন, ওখান গল্পের আগের সব অংশ পেয়ে যাবেন। চন্দ্রেয়ী – এই শোনো আমি ইগোপূর্ণকে বিয়ে করছি না ঈশান – ও হো ইগোপূর্ণ? বলে হাসতে লাগলো চন্দ্রেয়ী – অপূর্ব ঈশান – তার মানে তুমি আমার সাথে পালাচ্ছ ? চন্দ্রেয়ী – না, ঈশান -তাহলে বিয়ে করছো ? চন্দ্রেয়ী – না ঈশান – তাহলে? চন্দ্রেয়ী – আছে। ঈশান – সুইসাইড করবে? এই না বলে চন্দ্রেয়ীর হাতটা খপ করে ধরলো। চন্দ্রেয়ীর পাশে একজন বসেছিলেন তিনি ওদের দিকে তাকালেন। চন্দ্রেয়ী হাতটা ছাড়িয়ে নিলো। চন্দ্রেয়ী – একদম বাড়াবাড়ি করবে না বলে দিচ্ছি। ঈশান – তো বলো কি করবে ? চন্দ্রেয়ী – আমি তোমাকে সব কথা বলবো কেন? আশ্চর্য্য ঈশান – কেননা আমি তোমাকে ভালো সাজেশান দিতে পারি। চন্দ্রেয়ী – তুমি ? ঈশান – ইয়েস, চন্দ্রেয়ী – পালানো ঈশান – ইয়েস, চন্দ্রেয়ী – তোমার ঢঙের আইডিয়া তোমার কাছে রাখো, কোনো কিছু ভাববো না ,পালাবো। শোনো আমি না তোমার মতো ইমম্যাচিওর নয়। ঈশান – রিয়েলি ? চন্দ্রেয়ী – হোয়াট ডু ইউ মিন? রিয়েলি মানে কি ? ঈশান – রিয়েলি মানে তুমি ম্যাচিওর নও চন্দ্রেয়ী – আচ্ছা ? ঈশান – হুম, সেদিন আমাকে খুঁজতে ট্রেনে দরজার কাছে এত রাত্রে দাঁড়িয়েছিলে একবার ভেবেছিলে কি হতে পারতো, চন্দ্রেয়ী – তুমি উল্টোদিক থেকে এসে ভয় না দেখলে কিছুই হতো না , ঈশান – হতে পারতো অনেক কিছু ,দরজা খোলা ছিল কেউ ছিল না ,যদি কয়েকজন তোমাকে ট্রেন থেকে টেনে নামিয়ে নিতো কি করতে ? চন্দ্রেয়ী কথাটা শুনে থমকে গেছে , সত্যিই তো ভাবেনি, যদি সত্যি কিছু হতো। কথাটা ভেবেই কাটা দিয়ে উঠলো গায়ে। ঈশান – রিলাক্স – টেক অফ করে গেছে। চন্দ্রেয়ী – কি? ঈশান – ফ্লাইট চন্দ্রেয়ী জানালা দিয়ে দেখলো তারা এখন মাঝ আকাশে। আপনার মতামত জানান -