প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাতে আর বেশি সময় নেই। সামনে পুজো। আর তারপরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তাই সংগঠনকে চাঙ্গা করতে উত্তরবঙ্গে এসে পুজোর পর থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার জন্য দলকে নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।

সূত্রের খবর, সোমবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।আর সেখানেই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি একুশের নির্বাচনে কিভাবে সাফল্য পেতে হবে, তার পথ বাতলে দেন তিনি। যেখানে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করবার জন্য এখন থেকেই বিজেপি নেতাদের প্রস্তুতি নিতে বলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি।

আর দলের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ পেয়েই এখন ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির নেতারা। তৃণমূলের মত প্রবল প্রতাপশালী শক্তিকে পরাজিত করা যে খুব একটা মুখের কথা নয়, তা ভালই উপলব্ধি করেছে বিজেপির রাজ্য আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই আরও বেশি করে জনসংযোগ এবং নীচুতলায় সংগঠনকে যে আরও বেশি করে শক্তিশালী করতে হবে, তা বুঝতে পেরেছেন সকলে। আর তাই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির নির্দেশ মতই এবং জনসংযোগে জোর দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসন দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যার মধ্যে অন্যতম আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অস্বস্তিতে ফেলছে দলের নেতাকর্মীদের। তাই সেই দিকটি যেমন এখন বিজেপিকে সামলাতে হবে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোর কদমে লড়াইয়ে নামতে হবে। আর তাই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসে সেই নির্দেশ দেওয়া মাত্রই পুজোর পরে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামতে চাইছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “নভেম্বর মাসের শুরুতেই দলের জনসংযোগের বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। সর্বভারতীয় সভাপতি দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বুথে বুথে গিয়ে জনসংযোগ করতে বলেছেন। সাংসদ এবং বিধায়কদেরও কার্যকর্তাদের বাড়িতে যেতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করছি। আগামী বৈঠকে সর্বভারতীয় সভাপতি এই কাজগুলোর হিসাব নেবেন বলেছেন। ওই বৈঠকের আগে তার নির্দেশ মত কাজ করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।” যদিও বা বিজেপি রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূলকে কুপোকাত করার কথা বললেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “জেলার মানুষ বিজেপিকে নিয়ে তিতিবিরক্ত। সেটা বিজেপি নেতারা বুথে বুথে গেলেই টের পেয়ে যাবেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুজোর পরে আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করতে চাইছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তাই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে চাঙ্গা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বাভাবিকভাবেই দলের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ পাওয়ার সাথে সাথেই এবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পুজোর পরে সক্রিয়ভাবে ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বরা। সব মিলিয়ে পুজো মিটে যাওয়ার সাথে সাথেই বিজেপি ময়দানে নেমে তাদের ভোটব্যাংককে কতটা শক্তিশালী করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।