এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করলেও মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল, জেনে নিন!

সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করলেও মমতার অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যপাল, জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  জাগদীপ ধনকার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই তার বিবাদ সামনে আসতে শুরু করে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা যখন নির্বাচনী প্রচার করতে শুরু করেছিলেন, তখন তারা অনেকেই বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন, তখন তাকে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে প্রথম শিক্ষা পাবেন রাজ্যপাল।

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের ফলাফলের পর তৃতীয়বার যখন রাজ্যের ক্ষমতায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস, তখন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার নতুন সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। তবে ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যে ক্রমাগত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে।

বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজ্যপালের কাছে নিজেদের অভিযোগ জানিয়ে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেও, যেভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তাতে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল দ্বিতীয়বার বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও, যেভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাকে কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল, তাতে তিনি যে পক্ষে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। যেখানে তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশকে এই অর্থহীন রাজনৈতিক হিংসা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং হুমকি প্রতিরোধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক। সারা বিশ্বের সমগ্র বঙ্গসমাজই আইনশৃঙ্খলার অভাব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই কেন ভোট পরবর্তী হিংসা? গণতন্ত্রের ওপর এই নিগ্রহ কেন?”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই ফলাফল প্রকাশের পর নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের আগে রাজ্যের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের এই ধরনের টুইট যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই টুইটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের ক্ষমতা তৃতীয়বারের জন্য দখল করা তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি যে কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ নতুন সরকার শপথ নেওয়ার আগে রাজ্যপাল আবারও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কার্যত শোরগোল তুলে দিলেন বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, ফলাফল প্রকাশের পর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি সোমবার এই ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে। আর তারপরই রাজ্যের হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের এই টুইট।

অর্থাৎ এদিন রাজ্যপাল এই টুইট করে রাজ্যে বিপুল আসল নিয়ে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই যে বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে রাজ্যপালের এই ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!