এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সপ্তম দফার 22 কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট কি ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল? চর্চা শুরু!

সপ্তম দফার 22 কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট কি ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল? চর্চা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ইতিমধ্যেই সপ্তম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। বাকি রয়েছে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। আর তারপরই ফলাফল প্রকাশিত হবে। তবে সপ্তম দফার ভোটে 34 টি আসনে নির্বাচন হলেও, 22 টি কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক এখন বড় ফ্যাক্টর। আর সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক তৃণমূল কংগ্রেস তাদের দখলে রাখতে পারবে কিনা, এখন সেটা নিয়েই দোলাচল তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

বলা বাহুল্য, এই সপ্তম দফায় রাজ্যের দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত 21 টি আসনের পাশাপাশি কলকাতা বন্দর এলাকাতেও নির্বাচন রয়েছে। মূলত এই 22 টি কেন্দ্রে সংখ্যালঘুরা বড় ফ্যাক্টর। একাংশ বলছেন, গত দশ বছরে এই সমস্ত কেন্দ্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ কিছুটা হলেও তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের নানা নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ঘাসফুল শিবিরকে অনেকটাই ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল। তার ওপর বিজেপি অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠায় চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে একদিকে দুর্নীতি যখন তৃণমূলের পথের কাঁটা, ঠিক তখনই বিজেপির পক্ষ থেকেও সংখ্যালঘুদের প্রতি দরদ দেখিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু প্রার্থী করা হয়েছে। যা শাসকদলের কাছে অস্বস্তির কারণ। আর এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের সমর্থন তৃণমূলের দিকে ঠিকমত যাবে কিনা, সেটা নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে একাংশের মধ্যে‌।

বলা বাহুল্য, বিজেপির পক্ষ থেকে এবার রাজ্যে মোট 9 জন সংখ্যালঘুকে প্রার্থী করা হয়েছে। যার মধ্যে মুর্শিদাবাদে পাঁচজন, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরে দুইজন করে সংখ্যালঘু প্রার্থী করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তাদের দিকেই এবার সংখ্যালঘুদের সমর্থন থাকবে। বিশেষ করে তিন তালাক আইনকে ভর করে মুসলিম মহিলাদের একটা বিরাট অংশ বিজেপিকে সমর্থন করবে বলে আশা করছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে আরএসএফের জটে কিছুটা হলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে ভোট কাটাকুটিতে বিজেপি অনেক আসনেই শেষ হাসি হাসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এটাই তৃণমূলের কাছে এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে একশোর ওপর বিধানসভা আসনের নির্ধারকের ভূমিকা গ্রহণ করে সংখ্যালঘু ভোটাররা। সেখানে দাঁড়িয়ে সংযুক্ত মোর্চারা যদি কিছু আসনে জয়লাভ করে, তাহলে ভোট কাটাকুটি হলে আদতে লাভ হবে ভারতীয় জনতা পার্টির। গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা হয়েছিল এই সংখ্যালঘু ভোটের কারণে।

কিন্তু এবার যদি সেখানেও ফাটল দেখা দেয়, তাহলে সপ্তম দফায় হয়ে যাওয়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত 22 টি আসনে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ যে কার্যত সংশয়ের মুখে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সংখ্যালঘু ভোট যে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের বড় নির্ণায়ক শক্তি, সে ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে এবার এই সংখ্যালঘু ভোট কাঁটা হবে, নাকি ফুল হয়ে উঠবে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!