এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজের দুদিন যেতে না যেতেই বাউল শিল্পীর কন্ঠে শোনা গেল ভিন্ন সুর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজের দুদিন যেতে না যেতেই বাউল শিল্পীর কন্ঠে শোনা গেল ভিন্ন সুর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত রবিবার দুপুরে বোলপুর সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বোলপুরের শ্যামবাটিতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন। বিশ্বভারতী যাবার পর বাউল শিল্পীর বাড়িতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেদিন তাঁকে বাউল গান অভ্যর্থনা করেছিলেন বাউল শিল্পী বাসুদেব দাস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেদিন উপস্থিত ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা, অনুপম হাজরা, দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজনের পর দুদিন যেতে না যেতেই ভিন্ন সুর বাউল শিল্পীর গলায়।

গতকাল বাউল শিল্পী বাসুদেব দাস জানালেন যে, তিনি নিজের বাড়িতে রেশনের চাল খান কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য তিনি মিনিকিট এনেছিলেন। বাউল শিল্পী জানালেন, তাঁরা কোন সাহায্য করেনি তাঁকে। এমনকি খাওয়ার পর তাঁরা আর কোন যোগাযোগ করেননি। তিনি ভেবেছিলেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন তাঁর মেয়ে এমএ পাস করে বসে আছে, অর্থের অভাবে তাকে ডিএড করাতে পারছেন না। কিন্তু তিনি কিছুই জানাতে পারেননি। এরপরই বাউল শিল্পীর মেয়ের ডিএড পড়ার ব্যবস্থা করল তৃণমূল নেতৃত্ব।

গত রবিবার বাউল শিল্পীর বাড়িতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজনের পর গতকাল মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে দেখা গেল শিল্পী বাসুদেব দাস বাউলকে। অনুব্রত মণ্ডল জানান যে, বাউল শিল্পীর বাড়িতে বিজেপি নেতৃত্ব খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। বাউল শিল্পী নিজের কথা কিছুই জানাতে পারেননি। ওরা নাটক করতে এসেছিল, নাটক করে চলে গিয়েছে। বাউল শিল্পী তার মেয়েকে ডিএড করাতে চান। এ কারণে তৃণমূল শিবির শিক্ষা সেলের দায়িত্বে থাকা প্রলয় ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। বাউল শিল্পীর পক্ষে দেড় লাখ টাকা দিয়ে মেয়েকে ডিএড করানো সম্ভব নয়। এ কারণে তাকে ডিএড করানোর দায়িত্ব নিল তৃণমূল

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে বাউল শিল্পী জানালেন, ” আমি নিজের বাড়িতে রেশনের চাল খাই। অমিত শাহের জন্য মিনিকিট এনেছিলাম। ওরা আমাকে কোনও সাহায্য করেনি। এমনকি, খাওয়ানোর পর থেকে ওরা কেউ যোগাযোগও করেনি। আমি ভেবেছিলাম, অমিত শাহকে বলব যে আমার মেয়ে এমএ করে বসে আছে। টাকার জন্য ডিএড করাতে পারিনি। কিন্তু বলা সম্ভব হয়নি। উনি সেবা করে চলে যান।” গত রবিবার বাউল শিল্পীর বাড়িতে দাওয়ায় বসে আলু, পোস্ত, বেগুন ভাজা, চাটনি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরবর্তীতে বাউল শিল্পী বাসুদেব দাস এর পরিবারকে আতিথেয়তার জন্য টুইট করেন ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এরপর দুদিনের মধ্যেই বাউল শিল্পীর ভোল বদলে বিস্মিত অনেকেই।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা পুরো ঘটনাতেই রাজনীতি দেখতে পাচ্ছেন। ইতিপূর্বে উত্তরবঙ্গের মাহালি পরিবার, জঙ্গল মহলের বিভীষণ হাঁসদার পরিবারের সঙ্গেও এমনভাবে দড়ি টানাটানি খেলা চলেছিল দুই রাজনৈতিক দলের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজন করে চলে যাবার পরেই সেখানে উপহারের ডালি নিয়ে উপস্থিত হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল এবার এখানে, এমনটাই বিশ্লেষকদের মতামত।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!