এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কি ফের দেখা যাবে মমতা-মুকুল জুটিকে? দিদি-ভাইয়ের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা!

সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কি ফের দেখা যাবে মমতা-মুকুল জুটিকে? দিদি-ভাইয়ের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2017 সালের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তৃণমূল কংগ্রেসে শেষ কথা বলতেন মুকুল রায়‌। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে, সেই বিষয়টি অনুধাবন করে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রস্তাব আকারে পেশ করতেন মুকুলবাবু। আর সেই প্রস্তাবে সীলমোহর দিয়ে দিতেন তৃণমূল নেত্রী। অর্থাৎ একসময় তৃণমূলের কার্যত অঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন তিনি। তবে 2017 সালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর ধীরে ধীরে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তার তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া যে মুকুল রায় চলতে পারবেন না এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যে মুকুলবাবুকে ছাড়া জাতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে পারবেন না, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর আবার মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে।

এদিকে বাংলা দখল করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রধান টার্গেট দিল্লি দখল। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে ঘুটি সাজাতে শুরু করেছেন তিনি। তবে মুকুল রায়ের জায়গায় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেকবাবুকে। যে পদ একসময় সামাল দিয়েছেন মুকুলবাবু। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্তৃতি লাভ থেকে শুরু করে সংগঠনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা, কোন পথে চললে ভালো হয়, তার জন্য কি আবার তৃণমূলের সংগঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হতে দেখা যাবে মুকুল রায়কে! ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন্ন দিল্লি সফরকে কেন্দ্র করে সেই সফরে মুকুল রায়ের সঙ্গী হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, আগামী 25 তারিখ থেকে শুরু করে 30 তারিখ পর্যন্ত দিল্লি সফরে থাকবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগেই রাজনৈতিক ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে দিল্লি চলে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাওয়ার আগে দিল্লিতে থেকে সমস্ত রকম কার্যকলাপ তৈরি করতে দেখা যেত মুকুল রায়কে। কিন্তু এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ করছেন। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একসাথে দিল্লির মাটিতে পা রাখার কথা রয়েছে তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা মুকুল রায়ের। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়ের হাত দিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৈরি করে নিতে চাইছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা মুকুলবাবু খুব ভালো করেই জানেন, সর্বভারতীয় রাজনীতি কিভাবে করতে হয়! একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড থাকবার সময় দলকে বিভিন্ন রাজ্য বিস্তার লাভ করার পেছনে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছিল এই মুকুল রায়কে। তার হাতে দায়িত্ব দিয়ে কার্যত নিশ্চিন্ত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন আবার সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরে এসেছেন, তখন তাকে কার্যত মাথার উপরে রেখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই মুকুলবাবুর হাত দিয়েই রাজনীতির প্রাথমিক পাঠ দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল হোক বা বিজেপি, সর্বভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে যে মুকুল রায়ের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা অস্বীকার করতে পারে না কোনো রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে বিজেপিতে যাওয়ার পরে মুকুল রায়ের পারফর্ম্যান্স দেখে তাকে সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেছিল গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ বাংলার বাইরেও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যে মুকুল রায়ের জুড়ি মেলা ভার, তা বুঝতে পেরেছিল বিজেপির মত সর্বভারতীয় দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূল যখন আক্ষরিক অর্থেই নিজেদের সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তৃতি লাভ করাতে চাইছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সব থেকে বেশি ভরসা করছেন সেই মুকুল রায়কে, তা তাঁর দিল্লি সফরে মুকুল রায়ের সঙ্গী হওয়ার ঘটনার মধ্যে দিয়েই কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে তৃণমূলের সংগঠনে আগামী দিনে কিভাবে ব্যবহৃত হন মুকুল রায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!