এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সৌমেন-মানস-কল্পনার ত্রিফলা আক্রমণে দিলীপ গড়ে বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে, দুই প্রভাবশালী তৃণমূলে!

সৌমেন-মানস-কল্পনার ত্রিফলা আক্রমণে দিলীপ গড়ে বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে, দুই প্রভাবশালী তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে তৃণমূল কংগ্রেস খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক বা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মানুষের দুর্ব্যবহার, যে কোনো কারণেই এখানে তৃণমূলকে চাপে ফেলে ভালো ফলাফল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এর পর থেকেই তৃণমূল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়তে দেখা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় অস্বস্তি বজায় ছিল শাসক দলের অন্দরে।

কিন্তু এবার বিজেপির ঘর ভেঙে দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিজেপির দুই সদস্য নবকুমার সিংহ এবং শান্তি কিস্কুকে সম্প্রতি তৃণমূলের নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কল্পনা শীট। আর এদিন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং মানস ভূঁইয়ার উপস্থিতিতে জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপি থেকে আসা সেই দুই পঞ্চায়েত সদস্যের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।

স্বভাবতই গোটা ঘটনায় এখন তৃণমূল কংগ্রেস যে অনেকটাই উজ্জীবিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির 25 টি আসনের মধ্যে বিজেপি 13 এবং তৃণমূল 12 টি আসন পায়। বোর্ড গঠন নিয়ে এখনও পর্যন্ত এই পঞ্চায়েত সমিতির সমস্যার সমাধান হয়নি। আদালতে মামলা হওয়ার কারণে এখনও শপথ গ্রহণ করতে পারেননি 25 জন প্রতিনিধি। ফলে কাজকর্ম অনেকটাই আটকে রয়েছে। কিন্তু এবার বিজেপি থেকে দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ায় এই পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এখনই এই ব্যাপারে বোর্ড গঠনের কোনো নিশ্চিত বার্তা দিতে পারছেন না কেউ। পুরো বিষয়টাই আদালতের দরজায় রয়েছে। তাই সেখানে যদি মামলার নিষ্পত্তি না হয়, তাহলে এই দলবদলে তেমন ভাবে কোনো লাভ হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও বা বিজেপির দুই সদস্যকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে কিছুটা আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “আদালত বা সরকার যখনই নির্দেশ দিক, আমরাই বোর্ড গঠন করব।

এই সময়ের মধ্যে আরও সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবেন। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।” কিন্তু যেভাবে তাদের দলের দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন, তাতে কি তারা চাপে পড়ল না? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “ওরা মন থেকে তৃণমূলে যাননি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এতদিন আমাদের বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হয়নি। এর আগে বহুবার চেষ্টা করেও আমাদের কাউকে ওরা নিয়ে যেতে পারেনি। এবার ভয় দেখিয়ে চাপ দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল।”

সব মিলিয়ে এবার কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির দখলের জন্য বিজেপির দুই সদস্যকে নিজেদের দিকে এনে গেরুয়া শিবিরকে রীতিমত চাপে ফেলে দিল তৃনমূল কংগ্রেস। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!