এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সৌমেন্দুর অপসারণ, ভাইয়ের পাশে দিব্যেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!

সৌমেন্দুর অপসারণ, ভাইয়ের পাশে দিব্যেন্দু, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃনমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছে এবং তার পাল্টা সরব হচ্ছে তৃনমূল, তখন নীরব শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারী। আর এই পরিস্থিতিতে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে।

এদিকে ভাইকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই বিদ্রোহের সুর শোনা গেল শুভেন্দু অধিকারীর আরেক ভাই তথা তৃনমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যেখানে পৌরসভায় তার যে দপ্তর রয়েছে, সেখানে তিনি আর যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যার ফলে ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারনের পর দিব্যেন্দু অধিকারী কার্যত বিদ্রোহেরই পথ বেছে নিলেন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে শুভেন্দুবাবুর পরিবারের কথা তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যে বাড়িতেই পদ্ম ফোটাতে পারল না, সে বাংলায় কি করে পদ্ম ফোটাবে!” আর তারপর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কি করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নীরবতা তাদের কি বিজেপি যোগের ইঙ্গিত, তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। আর এদিন সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই বিদ্রোহ শোনা গেল দিব্যেন্দু অধিকারীর গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সৌমেন্দুবাবুকে সরিয়ে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসক করা হয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধার্থ মাইতিকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “যাকে প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে, তিনি এলাকার ভোটার নন। প্রায় 50 বছর ধরে কাঁথি পৌরসভা সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক। পৌরসভায় আবার একটা অফিস ছিল। সেখানে আর যাব না। আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।”

তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলেও, দিদির প্রতি তাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলে দাবি করেন দিব্যেন্দু অধিকারী। কিন্তু মুখে তিনি যে কথাই বলুন না কেন, কাঁথি পৌরসভায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর সরিয়ে দেওয়ার পর দিব্যেন্দু অধিকারী যেভাবে এই গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে সরব হলেন, তাতে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই এখন গোটা ঘটনা পরম্পরা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!