প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে করোনার সঙ্গে লড়াই করে একটু ভালো আছেন সকলের প্রিয় ফেলুদা। আজকের সকালের খবর অনুযায়ী, আগের থেকে সুস্থতার দিকে ফিরতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে নতুন করে জ্বর আসার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলেও জানা গিয়েছে। অন্য দিকে তাকে বেডে বসানো হয়েছে বলেও তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

সেই সঙ্গে তিনি নিজে থেকে কথা বলার চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন ডাক্তাররা। তবে সেই সঙ্গে আজকে থেকে তাঁর ফিজিওথেরাপি চালু করার কথা ভাবছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ফিজিওথেরাপি যদি ভালোমতো চলে তবে তাঁকে এরপর হাঁটানো হবে বলেও আশা রাখছেন চিকিৎসকেরা।

তবে এর মধ্যে অন্যান্য রিপোর্ট ভালো থাকলেও শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় চিন্তায় রয়েছেন অভিনেতার পরিবার। তবে সংকট এখনো সম্পূর্ণ না কাটলেও তাঁর পরিস্থিতি স্থিতিশীল সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন ডাক্তারেরা। সেই সঙ্গে তাঁর মিউজিক থেরাপি চলছে বলেও জানা গেছে। রবীন্দ্র সংগীত শোনানো হচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গে পুরনো গল্প এবং কিছু ভালো স্মৃতি মনে করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৬ই অক্টোবর মধ্য কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে শুক্রবার জানা গিয়েছিল তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাই তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে সেইসময় তাঁর প্লাজমা থেরাপির কথা ভাবা হয়।

তবে এরপর শরীরে অক্সিজেন মাত্রা নেমে যাওয়ায় চিন্তায় পরেছিলেন ডাক্তারেরা। তবে এখন সেই মাত্রা অনেকটা কমেছে বলেও জানা গেছে। সেইসঙ্গে তাঁর আচ্ছন্ন ভাব কেটেছে। উঠে বসছেন তিনি। বস্তুত, মূত্র নালীতে সংক্রমণের কারণেই চিকিৎসকদের চিন্তার কারণ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

তবে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শোনা যাচ্ছিল নানা গুজব। আর তাই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তাঁর সজন বন্ধুরা। অন্যদিকে তাঁর সুস্বাস্থ্যের কামনায় প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছিল জনসাধারণকে। এত কিছুর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোয় স্বভাবতই হতাশ হয়েছিলেন অভিনেতার পরিবার।

জানা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসারত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবি। যা দেখার পরে মর্মাহত হন এই বর্ষীয়ান অভিনেতার পরিবারবর্গ। সেইসঙ্গে তাঁদের বলতে শোনা যায়, করোনা আক্রান্ত তাঁর বাবাকে নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগেই রয়েছেন তাঁরা সকলে। তাই সমস্ত মানুষের কাছে তিনি নিবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবার ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে সম্মান করতে এবং তাদের পারিবারিক ব্যক্তিগত বিষয়টিকে রক্ষা করার জন্য।