এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সৌমিত্রর ইস্তফার হুমকি ও প্রত্যাবর্তন: বঙ্গ-বিজেপির নড়বড়ে সংগঠন ও অনৈক্যই কি সামনে এনে দিল?

সৌমিত্রর ইস্তফার হুমকি ও প্রত্যাবর্তন: বঙ্গ-বিজেপির নড়বড়ে সংগঠন ও অনৈক্যই কি সামনে এনে দিল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা কথা ঘোষণা করেন সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে যায় তার এই বক্তব্য। পরবর্তীতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তিনি লেখেন, “কোনো কমিটি চেঞ্জ হচ্ছে না। আর আমার তোমাদেরকে ছেড়ে থাকা সম্ভব না। তাই ফিরে এলাম। টিএমসিকে হারানোর জন্য সব কিছু করতে রাজি আছি। জয় শ্রীরাম, জয় মা দুর্গা, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ।” কিন্তু প্রথমে কেন ইস্তফা দেওয়ার কথা বললেন সৌমিত্রবাবু এবং পরবর্তীতে তা কেন তুলে নিলেন তিনি, এখন তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরমহলে।

বস্তুত, সৌমিত্র খাঁ বেশ কিছুদিন আগে বিভিন্ন জেলার কমিটি ঘোষণা করলেও, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে মতানৈক্য তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই সমস্ত জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরে দিলীপবাবু এবং সৌমিত্রবাবুর মধ্যেকার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। আর এর কিছু সময় পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছেড়ে তিনি যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। পরবর্তীতে আবার সেই পদে থাকার কথা শোনা যায় তার গলায়। স্বাভাবিক ভাবেই দুই সময় তার দুই ধরনের ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

একাংশ বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ঘটনা বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দলকে যেমন প্রকাশ্যে এনে দিল, ঠিক তেমনই বিজেপি নিজেদেরকে শৃঙ্খলাপরায়ন দল বললেও, এই ধরনের ঘটনা যে তাদের শৃঙ্খলাকে যে ভেঙে দিল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। বস্তুত, শুক্রবার দুপুরে যুব মোর্চার সমস্ত জেলার কমিটি ভেঙে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে দিলীপবাবুর গভীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে? আর তাই সৌমিত্রবাবুর ঘোষণা করা জেলা কমিটি বাতিল করে দিলীপবাবু যুব মোর্চার সভাপতির সঙ্গে সংঘাত সৃষ্টি করলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর নানা মহলে এই নিয়ে যখন এই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল, ঠিক তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে সৌমিত্র খাঁ তার পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। আর তার পরেই সৌমিত্রবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু কিছু সময় পেরোতে না পেরোতেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তিনি নিজের পদে থাকার কথা জানিয়ে দিলেন। অনেকে বলছেন, সৌমিত্রবাবু খুব ভালো করেই জানেন, যদি তিনি এই পদ ছেড়ে দেন, তাহলে তাকে দলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে যেতে হবে। তাই পদে থেকেই লড়াই দেওয়ার মনোভাব পোষণ করার জন্যই তিনি এই ধরনের উদ্যোগ নিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে সৌমিত্রবাবুর ঘোষণা করা কমিটিকে যেভাবে ভেঙে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, তাকে ঠিকমত সমর্থন করছেন না বিজেপির অন্যতম যুবনেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এদিন তিনি বলেন, “দিলীপদা অন্যভাবেও সমস্যা সমাধান করতে পারতেন। দলের ভেতরে কথা বলে সমস্যা মেটানো যেত। আচমকা যুব মোর্চার সব জেলা কমিটিকে বরখাস্ত করে দিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দিলীপদা যে অস্বস্তির মুখে ফেললেন, সেটা না হলেই ভালো হত।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন বিভিন্ন জেলায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। তবে অনেকে মনে করেছিলেন, যেহেতু বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ন দল, তাই তারা এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে সক্ষম হবে। কিন্তু এবার বিজেপির একদম শীর্ষস্তরে যেভাবে যুব মোর্চার সভাপতির সঙ্গে রাজ্য সভাপতির দ্বন্দ্ব তৈরি হল, তাতে বিজেপি আগামী দিনে কিভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়বে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্ন। সব মিলিয়ে এবার নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বকে মিটিয়ে বিজেপি 2021 এ কতটা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই দিতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!