আজ দুপুরের পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল যে খবর তা হল – রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বর্তমান সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। গতকাল রাতেই নিজের ফেসবুক লাইভে তিনি বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকমল দাসের বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার চক্রান্ত ও তাঁর আপ্তসহায়ককে অপহরণের বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন।

এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে ঝড় উঠলেও তখনও কেউ ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি আজই মা-মাটি-মানুষের দলের উপর আস্থা হারিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের বর্তমান অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর একরাশ ক্ষোভ ও অভিযোগ জানিয়ে দলত্যাগ করে সোজা প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন তিনি।

যদিও সরকারিভাবে সৌমিত্র খাঁয়ের বিজেপিতে যোগদানের খবর প্রকাশিত হতেই তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, সকালেই নাকি সৌমিত্রবাবুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু, দলের বর্তমান একজন সাংসদকে দল থেকে বহিষ্কারের মত কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে – অথচ তা নিয়ে কোন সাংবাদিক বৈঠক হচ্ছে না! এই নিয়ে যখন বিতর্ক চরমে – তখনি সামনে এল আরেকটি বিস্ফোরক খবর।

আজ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে শুধু বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকেই নয়, একইসাথে বহিস্কার করা হল বোলপুরের বিতর্কিত সাংসদ অনুপম হাজরাকেও। অনুপমবাবুর নাম এর আগে একাধিক বিতর্কিত বিষয়ে জড়িয়েছে। এমনকি বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে তাঁর তিক্ত সম্পর্কের কথাও খবরের শিরোনাম হয়েছে। কিন্তু, আজ সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শাসকদল তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের সরকারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল।