এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > সৌমিত্র খাঁকে বিষ্ণুপুরে আটকানোর একের পর এক চেষ্টা, ভিডিওবার্তায় চরমবার্তা হেভিওয়েট নেতার

সৌমিত্র খাঁকে বিষ্ণুপুরে আটকানোর একের পর এক চেষ্টা, ভিডিওবার্তায় চরমবার্তা হেভিওয়েট নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে মুকুল রায় প্রকাশ্যেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, বর্তমানে নাকি শাসকদলের নেতা-কর্মীদের দমবন্ধকর পরিবেশ, রাজনীতিটুকু করার জায়গা নেই। তাই, আগামীদিনে তাঁর দেখানো পথে একাধিক হেভিওয়েট নেতা-কর্মী-বিধায়ক-সাংসদ দল ছাড়বেন। আর মুকুলবাবুর সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে সর্বপ্রথম যে হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ করে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তাঁর নাম সৌমিত্র খাঁ।

কোতুলপুরের যে তরুণ-তুর্কি তথা কংগ্রেস বিধায়কের ‘ক্যারিশমায়’ মুগ্ধ হয়ে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষ্ণুপুরের মত রুক্ষ ‘লাল দুর্গে’ ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং তিনি তা করেও দেখিয়েছিলেন, সেই সৌমিত্র খাঁও সেদিনকে প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বাংলায় ‘পিসি-ভাইপো’ ও ‘পুলিশি’ রাজ চলার বিস্ফোরক অভিযোগ। আর তাঁর অভিযোগ ও আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়েই, এরপর তাঁর বিরুদ্ধে হতে থাকে একের পর এক মামলা – গত সাড়ে চার বছরে যেখানে আতসকাঁচ দিয়ে খুঁজেও একটিও কোনো অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে বিজেপিতে যোগদানের পর সৌমিত্রবাবুর নামে বিষ্ণুপুর জুড়ে একাধিক থানায় একাধিক গুরুতর অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে ক্রমশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর আগে, সৌমিত্রবাবু বারেবারেই জানিয়ে এসেছেন, শুধুমাত্র তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলেই, তাঁকে ভুয়ো মামলা দিয়ে জেলে পুড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর আগে, বহু চেষ্টা করলেও আদালতের নির্দেশে সৌমিত্রবাবুকে জেলে অবশ্য ঢোকানো যায় নি – কিন্তু, সেই আদালতের নির্দেশেই লোকসভা নির্বাচনের মুখে পুনরায় সৌমিত্রবাবুকে ব্যাকফুটে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল থেকে। সবাই ভেবেছিল, লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর, আদর্শ নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে যাওয়ায় – সৌমিত্রবাবুকে বোধহয় আর গ্রেপ্তারির চেষ্টা হবে না। বিষ্ণুপুর জুড়ে তিনি তাঁর মত প্রচার করবেন এবং তারফলে মানুষ তাঁকে কতটা চাইবেন তা প্রমান হয়ে যাবে আগামী ২৩ শে মে ইভিএম বাক্স খুললে।

কিন্তু, তাঁর বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাতে আপাতত আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য বিষ্ণুপুরে ঢোকা বারণ – যদিও এর বিরুদ্ধে সৌমিত্রবাবু সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তবে, বোধহয় সৌমিত্রবাবুর বিষ্ণুপুরে ঢোকা আটকেও কেউ বা কারা একদমই নিশ্চিত হতে পাচ্ছেন না, এবার তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগে তাঁর নামে লেখা দেওয়ালও মুছে দেওয়া হচ্ছে। সৌমিত্রবাবু এক ভিডিও বার্তায় সেই দেওয়াল মুছে দেওয়ার ‘প্রমান’ দিয়ে জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে তিনি বিষ্ণুপুরের মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন, তাতে এইভাবে দেওয়াল লিখন মুছে তাঁকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যাবে না। তিনি সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙ্গুল তুলে জানিয়েছেন, কোনো একটি ‘পেড মিডিয়াকে’ দিয়ে দেখানো হয়েছে, তিনি নাকি মাত্র ২৮% ভোট পেতে পারেন, কিন্তু বাস্তবে তা অন্তত ৪৮%। আর তাই এইভাবে ‘মিথ্যা মামলা করে’ বা ‘দেওয়াল লিখন মুছিয়ে’ সৌমিত্র খাঁকে বিষ্ণুপুরের মাটিতে আটকানো যাবে না বলে – সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন বিষ্ণুপুরের এই তরুণ সাংসদ।

https://www.youtube.com/watch?v=IZ3O0PbxyMg

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!