এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সৌমিত্রর পরেই শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে ফেসবুক পোস্ট রাজীবের, জোর ধাক্কার মুখে বিজেপি!

সৌমিত্রর পরেই শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে ফেসবুক পোস্ট রাজীবের, জোর ধাক্কার মুখে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2020 সালের ডিসেম্বর মাসের 19 তারিখে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যুক্ত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর সেই শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুবাবুর কায়দাতেই তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্যের ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল ত্যাগ এবং বিজেপিকে যোগদান যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে। তবে তৃতীয় বার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হলেও, তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যুক্ত হওয়া নেতারা বেসুরো হতে শুরু করেছিলেন।

কিছুদিন আগেই 356 ধারা প্রয়োগ করা নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পাশে থাকতে দেখা যায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীকে দোষারোপ করে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সৌমিত্র খাঁর পদত্যাগ করা নিয়ে বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করে সেই শুভেন্দুবাবুর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সতীর্থ তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

সূত্রের খবর, কিছুক্ষণ আগেই বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, “বিরোধী নেতাকে বলব, যার নেতৃত্বে ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ 213 টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রোল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের মূল্য হ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।”

( সৌজন্যে- ফেসবুক পোস্ট)

আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত জল্পনা বাসা বাধতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, একই দিনে সৌমিত্র খাঁ এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেসুরো মন্তব্য আগামী দিনে যে বিজেপির বড় অস্বস্তির কারণ হতে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারছেন না? অনেকে বলছেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দুবাবু ক্রমাগত সরকারের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তৃণমূল সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই সুর নরম করা থেকে শুরু করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছিল। গোটা ঘটনা পরম্পরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পূর্বাভাস বলেই দাবি করতে শুরু করেছিলেন একাংশ। আর সৌমিত্র খাঁ যুব সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করার পর যেভাবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছেন, এবার সেই পথে হেঁটেই নির্বাচিত সরকারের বিরোধিতা না করে পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কমানোর দিকে নজর দেওয়া উচিত বলে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য ছুড়ে দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে রাজীব বন্দ্যপাধ্যায় এইরকম ফেসবুক পোস্ট করার পরেই জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। তাহলে কি রাজীববাবু এবার বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছেন? আর সেই কারণেই বিজেপির অন্যতম প্রধান হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তার এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট? একাংশ বলছেন, বিধানসভার ভেতরে এখন বিজেপির হয়ে শেষ কথা বলবেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিষদীয় রাজনীতিতে বিজেপির দিক থেকে তিনিই প্রধান ব্যক্তি। কিন্তু তাকে সেভাবে মেনে নিতে পারছেন না সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিরা, রাজীববাবুর ফেসবুক পোস্টের পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।

সব মিলিয়ে দলের অন্দরে কার্যত একের পর এক নেতার আক্রমণে অস্বস্তির মুখে নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের ফেসবুক পোস্ট যে বিজেপির বিড়ম্বনা এবং তৃণমূলের স্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, ফেসবুক পোস্টের পর আগামী দিনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!