প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– আবারও খবরের শিরোনামে সুশান্ত সিং রাজপুত। তবে এবারে আর কোনো মৃত্যু তদন্ত নয়, এবার ব্যাপার হচ্ছে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। বেঁচে থাকলে তিনি ভবিষ্যতে কোন কোন বিষয়ের উপর কাজ করতেন, সেই নিয়েই উঠে এসেছে নতুন তথ্য। জীবিতাবস্থায় তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে একটি বায়োপিক করেছিলেন। সেই নিয়ে যথেষ্ট প্রশংসাও কুড়িয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি জানা গেছে তিনি ভারতীয় ক্রিকেট দলের আরও এক প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীকে নিয়ে বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ বাংলার মহারাজ বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ছিল তাঁর দ্বিতীয় টার্গেট।

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে নিয়ে যে রহস্য তৈরি হয়েছে তার জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। এছাড়া এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটও জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে জড়িত। এবার সেই জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য জানালেন সুশান্ত সিং রাজপুতের বিজনেস পার্টনার বরুণ মাথুর। ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি জানান, মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকের পর আরেক প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত।

শুধু তাই নয়, বেশ কিছু অন্য প্রজেক্ট নিয়েও সুশান্তের পরিকল্পনা ছিল বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ইতিহাস নির্ভর বিভিন্ন ধরনের সিনেমা তৈরির পাশাপাশি প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিকও বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। ভার্চুয়াল জগৎ ও বাস্তবের মিশেলে আরও একটি ছবি করতেও আগ্রহী ছিলেন সুশান্ত। যেখানে তাঁর ১২টি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে, মাদকচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার সূত্রে আপাতত তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর এসবের মাঝেই রিয়া চক্রবর্তীর ভাই সৌভিকের এক চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। যে চ্যাটে সৌভিককে মাদক কারবারীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তবে সেই কথপোকথনে ‘ড্যাড’ বলে কাকে সম্বোধন করা হয়েছে, সেই নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। এই মাদক কারবারীদের সঙ্গে এত ঘন ঘন যোগাযোগ রাখাকেই সন্দেহের চোখে দেখছেনc গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তবে অন্যদিকে বরুণ মাথুরের সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুত একটি নতুন কোম্পানি শুরু করেছিলেন বলেই খবর। কিন্তু নতুন ওই কোম্পানি শুরু করার এক বছরের মধ্যেই কেন তা বন্ধ হয়ে যায়, সেই বিষয়টি মোটেই পরিষ্কার নয়। সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানা না গেলেও তদন্ত চলছে বলেই জানা গেছে।