হেভিওয়েট দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে সৌজন্যের আবহে রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরিতে আগ্রহী 4 প্রধান দলই কলকাতা রাজ্য March 31, 2019July 17, 2021 সারা রাজ্যের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রটি বহু রাজনৈতিক উত্থান-পতনের সাক্ষী বলে পরিচিত। এক সময় এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকেই একা সাংসদ হয়ে লোকসভায় গিয়েছিলেন বাংলার বর্তমান শাসক দল তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে তার দলের বহর অনেকটাই বড়। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। এখন সেই শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াই করছে বিজেপি। সাথে রয়েছে বাম এবং কংগ্রেসও। বস্তুত, এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন মালা রায় এবং বিজেপি তরফে নেতাজির পরিবারের সদস্য চন্দ্রকুমার বসু। আর দুই হেভিওয়েটের এই লড়াইয়ে যখন তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে সেই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অনেক জায়গাতেই, ঠিক তখনই বাংলার রাজনীতির পরোতে পরোতে জড়িয়ে থাকা সৌজন্যতা ভুললেন না কেউই। কিন্তু কেমন সেই সৌজন্যতা? প্রসঙ্গত, এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার, রাজ্যের এক নম্বর মানুষটি। যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানকার বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রকুমার বসু সেই প্রবল প্রতিপক্ষ তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও ভোট চাইতে যাবেন বলে রাজনীতিতে সৌজন্যের বার্তা এনে দিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, প্রার্থী হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসুর বাড়িতে গিয়েও ইতিমধ্যে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করে এসেছেন চন্দ্র বসু। আর এবার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তথা তৃণমূল নেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে তার প্রবল প্রতিপক্ষ হলেও একজন ভোটার হিসেবে তার বাড়িতেও যাবেন তিনি বলে এদিন জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসু। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মমতাদেবীর সঙ্গে আমার পরিচয় রয়েছে। উভয়েই আমরা ভিন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু কোনো তিক্ততার সম্পর্ক নেই। এর আগে বিধানসভা কেন্দ্রে লড়লেও ওনার বাড়িতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তবে এবার নিশ্চয়ই যাব। উনি দেখা করলে ওনাকে বলব যে, কেন মোদিজীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে সরকার তৈরি হওয়া উচিত।” অন্যদিকে চন্দ্র বসু যখন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভোট চাইতে যাওয়ার কথা বলে সৌজন্যতার বার্তা দিলেন, ঠিক তখনই সেখানে পিছিয়ে থাকতে দেখা যায়নি এই দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়কেও। এদিন তিনিও সৌজন্যতার বার্তা দিয়ে বিজেপি প্রার্থী চন্দ্র বসুর বাড়িতে গিয়েও ভোট চাইবেন বলে জানিয়ে দিলেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মালা রায় বলেন, “চন্দ্রবাবু নেতাজির পরিবারের লোক। উনি আমার বিরোধীপক্ষ হলেও প্রচারে বেরিয়ে ওনার পাড়ায় গিয়ে ওনার কাছেও ভোট চাইবো।” অন্যদিকে চন্দ্র বসুর পথে হেটে সিপিএম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস প্রার্থী মিতা চক্রবর্তীর গলাতেও শোনা গেছে সৌজন্যে সুরে। এদিন তারা দুজনেও সুযোগ পেলে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভোট চাইতে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলা যে বরাবরই শত রাজনীতির মাঝেও সৌজন্যতা কে মান্যতা দেয় তা ফের দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের শাসক-বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল। আপনার মতামত জানান -