শোভনের বিজেপি-যোগ নিয়ে আবার জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ, ‘কাছের লোক’ নিয়ে তীব্র আক্রমন রাজ্য November 28, 2018 মন্ত্রিত্ব ও মেয়র পদ ছাড়ার পর থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে।অনেকের মতে মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও তৃণমূল ছাড়বেন না কানন আবার অনেকে বলছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন প্রাক্তন মেয়র।শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে ঠিক তখনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি তাকে নিয়ে মুখ খুলে জল্পনাকে আরো এক ধাপ বাড়িয়ে দিলেন। দিলীপ ঘোষ এদিন জানান,রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি’তে আসতে চাইলে চিন্তাভাবনা করবে দল। আজ সাংবাদিকদের এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপবাবু বলেন, “শোভন চট্টোপাধ্যায় পদ ছাড়লেও দল ছেড়েছেন বলে আমার জানা নেই। তবে বিজেপি একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক পার্টি। এখানে অনেকেই যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। সকলের জন্যই আমাদের দরজা খোলা থাকে। শোভনবাবু যদি বিজেপি’তে যোগ দিতে চান, তাহলে আমরা চিন্তাভাবনা করেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে যখন রাজনীতিতে ঝড় চাপানউতোর চলছে তখন সেই ডামাডোলের পরিস্থিতিতেই সুমনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও এক নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও শোভনবাবু নিজে এবিষয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের বিজেপি’তে যোগদানের জল্পনা প্রসঙ্গে এহেন মন্তব্য করে দিলীপবাবু আদতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকেই চাপে রাখতে চাইছেন। শোভন বাবুকে নিয়ে মন্তব্য করার পাশাপাশি এদিন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার ভাবী মেয়র হিসেবে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকেও এক হাত নিয়েছেন দিলীপবাবু। এবং এক্ষেত্রে তৃণমূলের অন্দরে বিভাজনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। এ প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বাবু মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,” মেয়র পদ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কাজের লোক নন, বরং কাছের লোককে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন দিদিমণি। নাহলে ফিরহাদ হাকিমের বদলে সুব্রত মুখোপাধ্যায় অনেক বেশি সফল মেয়র হতে পারতেন। আসলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সংখ্যালঘু অসন্তোষকে দমানোর জন্যই এহেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।” প্রসঙ্গত, এদিন ‘সেভ বেঙ্গল’ নামে একটি মঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দিলীপবাবু। যা আদতে গেরুয়া শিবিরেরই তথাকথিত ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে,প্রবাসী বাঙ্গালীদের আরো বেশি করে বিজেপি মুখী করে তোলার জন্যই এই মঞ্চের প্রতিষ্ঠা। ওই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, দলের রাজ্যসভার সংসদ সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। এই মঞ্চ সম্বন্ধে তারা বলেন, “বাংলায় নির্বিচারে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। ২০১১ সালে বাংলার মানুষের কাছে অন্য কোনও বিকল্প ছিল না বলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পেরেছিলেন। এখন পশ্চিমবঙ্গবাসী বিজেপি’র মধ্যে সেই বিকল্পের সন্ধান পেয়েছেন। আমরা পরিবর্তনের সঙ্কেত পাচ্ছি।” আপনার মতামত জানান -