পদ না দিয়ে কি শোভন -বৈশাখীকে ঘুরিয়ে নিজের রাস্তা দেখতে বলল বিজেপি, জোর জল্পনা রাজনীতির অন্দরে কলকাতা রাজ্য June 2, 2020 তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্ট্যোপাধ্যায় আর তাঁর বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সে বহুকাল আগের কথা তার পর অবাক জলঘোলা হয়েছে ,তাঁকে নিয়ে আজ ও জোর জল্পনা যে কোনোদিন তিনি দল ছাড়তে পারেন। প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির ঘোষণা করেন। কিন্তু স্থান পাননি শোভন চট্টোপাধ্যায়, ঠাঁই পাননি শোভন-বান্ধবী বৈশাখীও। উভয়কেই ব্রাত্য রাখা হয়েছে। অথচ মুকুলের পর তৃণমূলের সবথেকে হেভিওয়েট শোভনই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মুকুল রায়কে বাদ দিলে তাঁদের মধ্যে সবথেকে হাইপ্রোফাইল নেতার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিদির আদরের ‘কানন’ একাধারে যেমন দু-দুবার সামলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়রের গ্ল্যামারাস পদ, অন্যদিকে তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও। এই লেবেলের ‘পোর্টফোলিও’ বিজেপিতে আগত একজন প্রাক্তন ‘তৃণমূলীরও’ নেই। অথচ দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে যে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা সেখানে কোথাও নেই শোভনবাবুর নাম! এবং কলকাতা পুরসভার মুখ করে তোলার মতো একজন নেতা পেয়েছিল বিজেপি। তবে কেন এহেন ব্রাত্য করা হলো শোভন বৈশাখীকে। অনেকের মতে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েও শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় হননি। এখনও তিনি তৃণমূলমুখীই রয়ে গিয়েছেন। বিজেপি শতচেষ্টা করেও তাঁকে আসরে নামাতে পারেননি। কলকাতা পুরসবার মুখ করতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পর্যন্ত শোভনকে সামনে আনতে চেয়েছিলো কিন্তু সুফল মেলেনি। পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যেতে পারেন এই আশঙ্কাও রয়েছে। সেই কারণেই নাকি পদ দেওয়া হয়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এখনই উঠছে প্রশ্ন? কেননা দলের কেউ অন্য দলে চলে যেতে চান তবে তাঁকে আটকানোর জন্য যথাসাদ্ধ চেষ্টা করে যে কোনো দল। তাঁকে ভালো পদ দেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর সাথে বৈঠক করে মনোমালিন্য মেটাবার বদলে ফের তাঁকে ব্রাত্য করে রাখা হলো।রাজনৈতিকমহলের প্রশ্ন তবে কি শোভনকে ঘুরিয়ে দল ছাড়ার বার্তা দিলো বিজেপি। বুঝিয়ে দিলো সে দলে থাকায় যা না থাকায় তাই। ইচ্ছে হলেই ফের ফিরে যেতে পারে। রাজনৈতিকমহলের মতে, এর ফলে সাপও মরলো আর লাঠিও ভাঙবে না , কেননা শোভন কোনোভাবেই বিজেপির ঘাড়ে বন্দুক রেখে তৃণমূলে ফিরে যেতে পারবেন না, বড়োজোর অভিযোগ তুলতে পারেন যে তিনি সম্মান পাচ্ছিলেন না। কিন্তু পদ পাননি, আর পাবেন না এইকথা বলতে পারবেন না। কেননা বিজেপি তার পাল্টা দিতেই পারে যে তাঁকে পদ দেবার চিন্তা করা হচ্ছিলো তিনি চলে গেলেন তাই কিছু করার নেই। ফলে অনেকেই মনে করছেন এর মাধ্যমে তাঁকে ঘুরিয়ে চলে যাবার কথাই বলা হলো। তবে এই নিয়ে রাজনৈতিকমহলের শোরগোল পরে গেলেও কোনো মতেই মুখ খোলেননি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শোভন- বৈশাখী। এখন তিনি কি করেন সেই দিকেই তাকিয়ে বঙ্গবাসী। আপনার মতামত জানান -