জামাই আদর করে ডেকে এনেও বিজেপিতে পদহীন শোভন-বৈশাখী! ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন! কলকাতা রাজ্য June 1, 2020 দিদির প্রিয় ঘাসবাগানের ময় কাটিয়ে যেকজন গায়ে পদ্ম-নামাবলী চাপিয়েছেন, মুকুল রায়কে বাদ দিলে তাঁদের মধ্যে সবথেকে হাইপ্রোফাইল নেতার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়। দিদির আদরের ‘কানন’ একাধারে যেমন দু-দুবার সামলেছেন কলকাতা পুরসভার মেয়রের গ্ল্যামারাস পদ, অন্যদিকে তিনি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীও। এই লেবেলের ‘পোর্টফোলিও’ বিজেপিতে আগত একজন প্রাক্তন ‘তৃণমূলীরও’ নেই। অথচ দিলীপ ঘোষের সভাপতিত্বে যে নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা সেখানে কোথাও নেই শোভনবাবুর নাম! নাম নেই, তাঁর হাইপ্রোফাইল ‘বান্ধবী’ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। অথচ এই শোভনবাবু দীর্ঘদিন ধরেই খবরের হেডলাইনে। এমনকি শোনা যায়, তাঁর ও বৈশাখীদেবীর জেদাজেদিতেই নাকি সেদিন আরেক তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের গেরুয়া শিবিরে যোগদান হয় নি। যদিও, দেবশ্রী রায় পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে সেদিন দিল্লি যান নি! তাহলে, দিল্লিতে বিজেপির হেড কোয়ার্টারে তিনি কে করছিলেন -সেই প্রশ্নের সন্তোষজনক কোনো ব্যাখ্যা নেই! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, আপাতত থাক দেবশ্রী রায় এপিসোড! সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন কার্যত চলছে – কানন-বৈশাখী ঝড়! বিজেপিতে যোগ দিয়েই তীব্র আক্রমন শানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে। কিন্তু, তারপরেই কেমন যেন বেসুরো সবকিছু। ঘটনার সূত্রপাত, তাঁকে ঘটে করে বিজেপির রাজ্য অফিসে সম্বর্ধনা দেওয়ার সময় থেকেই! কেন তাঁর বান্ধবীকেও আলাদা করে সম্বর্ধনা দেওয়া হচ্ছে না – এই নিয়েই শুরু হয় জলঘোলা। আর তারপরেই, পদ্মবনে আর সেভাবে কাননের দেখা মেলে না! উল্টে, মান-অভিমান ভুলে তিনি ছুটে যান যে তৃণমূল নেত্রীকে ফেলে এসেছেন, সেই দিদির কাছেই ভাইফোঁটা নিতে। এরপর বারেবারেই জল্পনা ছড়িয়েছে কানন-এক্সপ্রেস আবার ঘাসফুল শিবিরে ‘ব্যাক’ করছে! কখনো মেয়র পদে পুনঃপ্রতিষ্ঠা, কখনো মন্ত্রীপদ ফিরিয়ে দেওয়া – একের পর এক জল্পনা ছড়িয়েছে! তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যের একাধিক একান্ত আলোচনার পরে সেই জল্পনা আরও গতি পেয়েছে! আর বিজেপির এই রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর তো জল্পনা তুঙ্গে! আপাতত সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই দেখা যাচ্ছে শোভনবাবুর ভবিষ্যৎ নিয়ে একাধিক জল্পনা। অনেকেই বলছেন – তৃণমূলের শোভনবাবুর অভাব স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। বিশেষ করে আমপান-বিধ্বস্ত কলকাতা তা আরও বেশি করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেই সময়ে তিনি নিজেও যে বার্তা দিয়েছেন, তাতেও কোথাও যেন তৃণমূলে ফিরে যাওয়ারই ইচ্ছে প্রকাশ পেয়েছে। আর বিজেপির রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই না পাওয়ার পরেই এবার গেরুয়া শিবিরে শোভন-বৈশাখীর ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন! এবার কি সত্যিই তৃণমূল শিবিরে ব্যাক করছেন এই হাইপ্রোফাইল জুটি? উত্তরের অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -