এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন বৈশাখীর নয়া পদক্ষেপে ফের রাজনৈতিকমহলে জল্পনা?

শোভন বৈশাখীর নয়া পদক্ষেপে ফের রাজনৈতিকমহলে জল্পনা?

 

রাজনীতিতে জল্পনা থাকে। অনেক সময় সেই জল্পনা সত্যি হয়। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে জল্পনা যেন জল্পনাই থেকে যাচ্ছে। গত 14 ই আগস্ট তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে তারপর সেইভাবে বিজেপিতে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি তাকে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল।

আর এরই মাঝে ভাইফোঁটার দিন নিজের প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফোটা নেওয়ার ঘটনা সেই জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই দাবি করতে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তার কাছ থেকে ফোটা নিয়ে আদতে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার রাস্তাকেই প্রশস্ত করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তবে এই জল্পনা চলতে থাকার মাঝেই শুক্রবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ঘটনা সেই শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীর বিজেপি ছাড়ার সম্ভাবনাকে প্রবল করে তোলে। যেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার মত সামান্য শিক্ষিকার বিজেপিতে দরকার নেই। তাই বিজেপিতে আমি থাকলাম কি না থাকলাম, তাতে বিজেপির কিছু আসে যায় না।”

আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের এঈ মন্তব্যের পরই সকলে প্রহর গুনছিল যে, ঠিক কবে তারা তৃণমূলে যোগ দেন! তবে এবার একটি ঘটনা সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপিতে থাকার সম্ভাবনাকে জোরালো করে তুলল। বস্তুত, যখন এই দুই ব্যক্তিত্বের বিজেপি ছাড়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে, ঠিক তখনই এদিন বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনকে দেখতে হাসপাতালে যান শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধ্যায় বেলভিউ নার্সিং হোমে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেননকে দেখতে হাসপাতালে যান তারা।জানা যায়, বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা চিকেনগুনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তবে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়া কোনো আশ্চর্য ব্যাপার না হলেও যখন তাদের বিজেপি ছাড়ার জল্পনা তৈরি হচ্ছে, তখন সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখতে যাওয়া অন্য মাত্রা পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

যদিও এর সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন তারা এদিন এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেননজী এই শহরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, সেটা আমি শুনে দেখতে এসেছি। আমি আমার কর্তব্যটুকু পালন করেছি। আপনারা এর মধ্যে অন্য কিছু খোঁজার চেষ্টা করলে আমার কিছু যায় আসে না।” এদিকে এই প্রসঙ্গে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে, আমার কলেজের কিছু সমস্যা নিয়ে আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অরবিন্দজীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। উনি অসুস্থ শুনে কিভাবে না গিয়ে থাকতে পারি!”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় অরবিন্দ মেননকে দেখতে গিয়ে যে সাফাই দিন না কেন, তাদের এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা পেল। কেননা যখন তারা বিজেপিতে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বলে ধরে নিয়েছিল রাজনৈতিক মহল এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করেছিল সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের, ঠিক তখনই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাকে দেখতে যাওয়ার মধ্যে সৌজন্যতা থাকলেও তা যে তাদের বিজেপিতে থাকার মেয়াদকে আরও বাড়িয়ে দিল, সেই ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত বিশ্লেষকেরা।

তবে শেষ পর্যন্ত এই ঘটনাকে সৌজন্যতা বেধে রাখা হয়, নাকি বিজেপিতে থেকে গোটা ঘটনায় রাজনীতিই জড়িত বলে প্রমাণ করে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়! সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!