এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভনের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে শুভকামনা জানিয়ে জল্পনা বাড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী, কি বললেন তিনি

শোভনের বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে শুভকামনা জানিয়ে জল্পনা বাড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী, কি বললেন তিনি


“আপনি আচরি ধর্ম পরেরে শিখাও” এই নীতি কথা স্মরণ করেই বোধ হয় একটু অন্যরকম করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগদান করার পরে শুভকামনা জানালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করায় তিনি আজ সমালোচনার পাত্র হয়েছেন ছোট-বড় সর্বস্তরের তৃণমূল নেতাদের কাছেই। ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও অনেকবারই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে শোভনবাবুকে।

সবকিছুর ঊর্ধ্বে ছিল বিজেপিতে যোগদান করতে যাওয়ার আগের দিনগুলি। এমন একটা সময় যখন বারবার তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো না কোনো হেভিওয়েট নেতা মানভঞ্জন করার চেষ্টা করছিল একদা দিদির প্রিয় কাননের, কিন্তু বুধবার দিন সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল্লির দিন্দয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় দপ্তরে ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তরীয় এবং সদস্যপদ মুকুল রায়ের কাছ থেকে গ্রহণ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এরপরেই তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এবং পারিবারিক অন্দরে নানান প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রীকে।তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেত্রী তথা শোভনপত্নী রত্নাদেবী জানান, রাজনৈতিক উত্থানটা দেখেছি, আজকে পতনের শুরুটা দেখলাম। অপেক্ষায় আছি, যেদিন মাটিতে পা পড়বে সেই দিনটা দেখার জন্য। কিন্তু সব মন্তব্য থেকে কিছুটা আলাদা মন্তব্য করতে দেখা গেল দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ পঞ্চায়েত মন্ত্রী তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন শোভনবাবুর দলবদলের কথা শুনে সুব্রতবাবু বলেন, “কাননের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য শুভ কামনা জানাই।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “দল থেকে ব্যক্তি বড় নয়। নেতাজি দল ছেড়ে ছিলেন, চিত্তরঞ্জন দাস কংগ্রেস ছেড়ে ছিলেন, তাতে কংগ্রেসের কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি। দল দলের মত চলবে। ঈশ্বর ওর মঙ্গল করুক।” কিন্তু সুব্রতবাবুর কথায় দুই দিক দিয়ে জল্পনার অবকাশও দেখছে রাজনৈতিক মহল।

একদিকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তুলনা করে তার রাজনৈতিক দর কি বাড়িয়ে দিলেন না সুব্রত বাবু! অন্যদিকে সুব্রতবাবু নিজে বহুবার দল বদল করেছেন, তিনি কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে এসে কলকাতার মেয়র হন, আবার কংগ্রেসে চলে যান। আবার 2011 সালে বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

ফলে সুব্রত বাবুর পক্ষে বোধহয় তাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলবদল নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করা কিছুটা স্ববিরোধী হয়ে যাচ্ছিল। তাই কংগ্রেস অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের চিরাচরিত রাজনৈতিক মতাদর্শগত বিরোধী বামপন্থীদের সুরে সুব্রতবাবুকে বলতে শোনা যায়, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। যা রীতিমতো আগ্রহের বিষয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। তবে এদিন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের বিজেপির কেন্দ্রীয় অফিস যাত্রার বিষয়ও প্রশ্ন করা হয় সুব্রতবাবুকে।

উল্লেখ্য, বুধবার শোভন- বৈশাখী বিজেপি যোগদানের আগেই হঠাৎ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেখা যায় রায়দিঘির বিধায়ককে। সকলে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছিলেন বুধবার দিনই বিজেপিতে যোগদান করবেন দেবশ্রী রায়। কিন্তু বিশেষ সূত্রের খবর, দেবশ্রীকে দেখেই বেঁকে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, দেবশ্রী যোগ দিলে তিনি যোগ দেবেন না। যার পরে দেবশ্রীর যোগদান পর্বকে আপাতত থামিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে সুব্রতবাবুর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ও এদিকে না ওদিকে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। ওর সঙ্গে দেখা হলে খারাপ লাগবে।

কিন্তু শোভন-বৈশাখী বিজেপিতে যোগদান এবং সেইখানে হঠাৎ করেই দেবশ্রীর আগমন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য যে একটা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে এই বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবকিছু মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি এখন কোন দিকে গড়ায়, সেই দিকেই তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা‌।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!