এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভনকে ফেরাতে পদক্ষেপ তৃণমূলের! কি কি কারণে বিজেপি ছাড়বেন শোভন! জেনে নিন

শোভনকে ফেরাতে পদক্ষেপ তৃণমূলের! কি কি কারণে বিজেপি ছাড়বেন শোভন! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেউ কল্পনাও করতে পারেননি, 2011 সালে যে শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি জনসভায় গিয়ে ছবি তুলতেন, সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গ ছেড়ে দেবেন। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রী হয়েছেন, কলকাতা পৌরসভার মেয়র হয়েছেন, একাধিক সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকেছেন। কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট হননি। একসময় বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তার জীবনে আগমন তার সমস্ত কিছুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। তখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের না চাই মন্ত্রীপদ, না চাই মেয়র পদ। তখন তিনি শুধু “বান্ধবীর অপমান সহ্য করতে পারবেন না” বলে দীর্ঘদিনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসর্গ ত্যাগ করে যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে শুধুমাত্র বান্ধবীর জন্য সমস্ত কিছু ত্যাগ করা কোনো মতেই সম্ভব নয়।

কিছু সময়ের জন্য তা আনন্দদায়ক হলেও, সব সময়ের জন্য যে তা সন্তুষ্টির কারণ হতে পারে না, তা নিশ্চিত ছিল সকলের কাছে। তাই বিজেপিতে যোগ দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরম্বনা বাড়িয়ে দেবেন বলেই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কিছুই করতে দেখা যায়নি শোভনবাবুকে। উল্টে ঘরে বসে থেকেই দিনের পর দিন পার করে যাচ্ছেন রাজ্যের প্রাক্তন এই হেভিওয়েট মন্ত্রী। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও যাতে তার মতো করে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তার জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু এর পরবর্তী মুহূর্তে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুটিকে “ডালভাত” বলে কটাক্ষ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে অপমান বোধ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে নানা আলাপ-আলোচনার পরেও সেভাবে রাজ্যে বিজেপির অনেক শীর্ষ নেতা আসলেও, কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি শোভনবাবুকে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আবার তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তার সহধর্মিণী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের জন্য। স্ত্রীয়ের সঙ্গে গন্ডগোলের জন্যই বান্ধবীর সঙ্গে তার গেরুয়া শিবিরে যোগদান। সেদিক থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর তাকে কাবু করতে তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে শোভনবাবুর নিজের ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই ওয়ার্ড থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিল শাসকদল। আর এর পরেই জল্পনা তীব্র হয়েছে যে, তাহলে কি রত্না চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে আনার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস?

আর তাই এই রকম সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে দলে ফেরার বার্তা দিতে চাইল শাসকদল? একাংশ বলছেন, সম্প্রতি একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, যারা তৃণমূল ছেড়ে অন্য কোনো দলে চলে গিয়েছেন, তারা যদি চান তাহলে আবার ফিরে আসতে পারেন। সকলের জন্য দরজা খোলা আছে। আর এর পরেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বিপ্লব মিত্র থেকে শুরু করে প্রশান্ত মিত্র, মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর, আরএসএস এর বিখ্যাত সংগঠক কৃষানু মিত্র থেকে শুরু করে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত স্নেহধন্য শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূলের কাছে যেমন খুশির কারণ হবে, ঠিক তেমনই বিজেপিকে অনেকটাই ধাক্কা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তার জায়গা থেকে সরিয়ে দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিতে চাইল শাসক দল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এখন এই ব্যাপারে শোভনবাবু কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!