এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন তৃণমূলেই আছেন, কবে সক্রিয় হবেন আশায় দল! বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়!

শোভন তৃণমূলেই আছেন, কবে সক্রিয় হবেন আশায় দল! বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়!


 

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতিতে এর আগেও শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে রাজনৈতিক জল অনেক ঘোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট মন্ত্রী এবং কলকাতা শহরের মহানাগরিক পদে থাকার পরে এক মত পারিবারিক কলহ এবং তার জেরে রাজনৈতিক উত্থান-পতনকে কেন্দ্র করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে থাকে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের।

এই বিবাদের অবশ্য অন্যতম কারণ শোভনবাবুর পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেও মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞরা। কারণ কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক তথা রাজ্যের হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এককালের অত্যন্ত স্নেহের ভাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে প্রথমে পরিবারে এবং পরে দলের অভ্যন্তরে নানান বিবাদে জড়িয়ে পড়ে প্রাক্তন মন্ত্রী।

পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছে যায় যে, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে শোভনবাবুর সম্পর্ক কয়েকদিনের মধ্যেই তিক্ত হতে শুরু করে। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে ভাইফোঁটা নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যেতে দেখা যায় শোভনবাবুকে।

রাজনৈতিক মহলে তখন থেকেই গুঞ্জন হয় যে, তৃণমূলে ফিরে পুনরায় দলীয় পদ এবং মন্ত্রিত্ব পেতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু শোভনবাবুর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনো খবর শোনা যায়নি। এমনকি শোভনবাবু তৃণমূলে আছেন নাকি ভারতীয় জনতা পার্টিতে আছেন! সেটাও স্পষ্ট নয় বিশেষজ্ঞদের কাছে। যদিও এই বিষয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “খাতায়-কলমে শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলেই আছেন।

এক্ষেত্রে পার্থবাবু বলেন, “বিধায়ক কিংবা কাউন্সিলর পদে তো শোভন আছেন। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে পদ ছাড়ার কথা কখনও জানাননি। শোভন।” কিন্তু বিজেপিতে যোগদান করার পরে যেমন দলীয়ভাবে সক্রিয় কোনো অবস্থান নিতে দেখা যায়নি কলকাতার প্রাক্তন মহানগরীকে, তেমনই পরবর্তীতে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত কোনোভাবেই রাজনৈতিক অথবা বিভাগীয় দিক থেকে কার্যকর হওয়ার কোনো রকম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেননি শোভনবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, যদি পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরেই থাকে শোভন চট্টোপাধ্যায়, তাহলে দলীয় কোনো প্রচার-প্রসার অথবা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ব্রাত্য কেন! যদিও ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে যে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব তৈরি হয়েছে, তা প্রকাশ পেয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠে। সম্প্রতি নভেম্বর মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বৈশাখীদেবী।

যদিও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকের ব্যাপারে বলতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, “মূলত ওনার কলেজের নানান সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্যই তার কাছে এসেছিলেন বৈশাখী।” আর এই বৈঠকের শেষেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদেরকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, তার মতো শিক্ষিত লোকের প্রয়োজন নেই ভারতীয় জনতা পার্টির।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাওয়ার পরেই কার্যত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সর্বপ্রকার মনোমালিন্য দূর হয়ে গিয়েছিল শোভনবাবুর। কিন্তু দলে তাঁর সক্রিয় না হওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। কারণ বরাবরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সাথে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুত্ব নিয়ে কার্যত রণং দেহি মূর্তি ধারণ করে এসেছিলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।

তৃণমূল ছেড়ে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করার পরে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রত্নাদেবীর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমত অবস্থায় রত্নাদেবীর বাধার কারণেই শাসক দলের সক্রিয় হয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে না শোভনবাবুর বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় যেভাবে “শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে আছেন” বলে মন্তব্য করলেন, তাতে এবার তৃণমূলে ঠিক কবে পাকাপাকিভাবে সক্রিয় হন শোভন চট্টোপাধ্যায়! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!