নবান্নে গিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র শোভন, রাজ্য May 30, 2018 কোলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা নিয়ে তৈরি হওয়া আইনি জটিলতা কারোরই অজানা নয়। এর সমান্তরালে মেয়ের ভিসা ফর্মে বাবা শোভনবাবু সাক্ষর না করা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমতাবস্থায় পত্নী রত্না দেবী সমস্যা সমাধানের উপায় না দেখে বেছে নেন পুলিশি সাহায্যের পথ।পারিবারিক বিবাদের জেরে তিনি এক আইপিএস অফিসাররের কাছে সহায়তা চান। অফিসারটিও তাকে আশ্বস্ত করেন চিন্তা না করতে। এবং তাঁর অফিসারের বিষয়টি সামলে দেবে বলেও কথা দেন। যেমন কথা তেমনই কাজ। আইপিএস অফিসারের এক পুলিশকর্তা নাকি এদিন ফোনে মেয়রকে হুমকি দিয়ে বলেন যে মেয়ের ভিসা ফর্মে সই না করলে সে যদি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তখন কী করবেন মেয়র? পাল্টা জবাবে মেয়ের জানান যে তাকে তো সরাসরি কালো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অভি্যোগে আরো জানান যে পুলিশ প্রশাসনের একাংশ তাঁর উপর যথারীতি চাপ সৃষ্টি করে তাকেই নাকি আত্মহননের পথে ঠেলে দিচ্ছে। একথা শোনার পরই নাকি পুলিশ দমে যান। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে শোভন বাবুর স্ত্রী শোভনবাবুর সার্দান অ্যাভিনিউ এর ফ্ল্যাটের সামনেও ধরনায় বসেছিলেন কার্যসিদ্ধি করার জন্য। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উল্টে শোভন বাবুর কাছে ধমক খেতে হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। শুধু এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। এদিন দুপুর বেলার তপ্ত রোদে নবান্নে গিয়ে প্রশাসনের চার শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ওই আইপিএস অভিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এসেছেন শোভনবাবু। ওই অফিসার শোভনবাবুর পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে অযথাই নাক গলাচ্ছেন, কথায় কথায় তাকে শাসানি দিচ্ছেন বলে এর জন্য ন্যায় চেয়েছেন তিনি। এসব অভিযোগ শুধু মেয়রের ঘনিষ্ঠরাই জানতো এতোদিন, এবার তা নবান্নের কানে পৌছালো। তবে প্রশাসনের আধিকারিকরা সমস্যার সমাধান করবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন শোভনবাবুকে। এছাড়াও বক্তব্যে জানিয়েছেন যে, শাসকদলের নেতাদের হুমকি দেওয়া,তাঁদের গতিবিধির উপর নজর রাখা,তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করে ওই আইপিএস অফিসার আসলে আর একজন ‘ভারতী ঘোষ’ হয়ে উঠছেন। তবে মেয়রের ক্ষোভের অন্য কারণে রয়েছে তৃণমূলের কোনো দলীয় সাংসদই। তাঁর দাবী দলেরই কোনো এক সাংসদ তাকে হেনস্তা করার জন্য এ পথে নেমেছেন। ওই সাংসদই নাকি দক্ষিণ ২৪ পরগনার নেতাদের মেয়রের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ করেছেন জেলা সভাপতি পরিবর্তন করার জন্য। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে। আপনার মতামত জানান -