এবার শোভনের ‘অভিমান’ ভাঙাতে আসরে স্বয়ং স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়? বাড়ছে জল্পনা কলকাতা রাজ্য August 11, 2019 বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বিবাদ খুব একটা ভালো চোখে মেনে নিতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরে কলকাতা পৌরসভার মেয়র এবং রাজ্যের মন্ত্রীপদ কেড়ে নেওয়া হয় বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। আর এই ঘটনার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে সেই শোভনবাবুর। 2018 নভেম্বর মাসের পর সেই ভাবে আর রাজনীতির মূল স্রোতে দেখা যায়নি তাকে। তবে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পর সেই শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে দলে সক্রিয় হন, তার জন্য তৃণমূলের শীর্ষস্তরের তরফে নানা তৎপরতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু তাতেও ঠিক মত বরফ গলেনি। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ফিরহাদ হাকিম, শোভনবাবুকে আগের মত করে সক্রিয়ভাবে সমস্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার আবেদন জানালেও তাতে ঠিকমত সাড়া দেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের একসময়কার প্রিয় কানন। কিছুদিন আগেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গোলপার্কের বাড়িতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, দলে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে সক্রিয় হন, তারজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দূত হিসেবে পার্থবাবু তার কাছে আবদার নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তৃণমূল মহাসচিবের এই আবেদনও নাকচ করে দেন বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের এই তৃণমূল বিধায়ক। তবে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা ফিরহাদ হাকিম নয়, দলে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায় যাতে সক্রিয় হন, তার জন্য তাকে ফোন করলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, শনিবার বিমানবাবু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে দলে আগের মত সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ এই ব্যাপারে কথাবার্তাও হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশ এই যুক্তি খাড়া করলেও তৃণমূলপন্থী ব্যক্তিদের দাবি, স্পিকার হিসেবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মৎস্যচাষ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান শোভন চট্টোপাধ্যায় কেন দীর্ঘদিন ধরে বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না! তার জন্যই তাকে ফোন করে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, আসলে এবার তৃণমূল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করবার জন্য মোক্ষম অস্ত্রটি প্রয়োগ করতে চাইছে। এতদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে ফিরহাদ হাকিম, কাউকে দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সক্রিয় করানো সম্ভব হয়নি। তাই এবার বিধানসভায় তিনি যে কমিটির চেয়ারম্যান, সেই কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন না! এই ব্যাপারে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনবাবুকে ফোন করে বরফে তৃণমূলের হয়ে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এই যবনিকার ঠিক কবে পতন হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -