এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সৌজন্যতার নজির! রাজনৈতিক হিংসার মাঝেই তৃণমূল-বিজেপিকে মিলিয়ে দিল করোনা!

সৌজন্যতার নজির! রাজনৈতিক হিংসার মাঝেই তৃণমূল-বিজেপিকে মিলিয়ে দিল করোনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাস প্রচুর মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। মহামারী কবে বিদায় নেবে, তার জন্য অপেক্ষা করছেন সকলে। প্রত্যেকেই রক্ষা পেতে চায় এই মারন ভাইরাসের দাপট থেকে। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর একদিকে যেমন করোনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই দেখা দিতে শুরু করেছে রাজনৈতিক হিংসা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বিজেপি নেতা, কর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ভারতীয় জনতা পার্টির।

কিন্তু হিংসার ঘটনা যখন খবরের শিরোনামে আসতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই করোনা ভাইরাস মিলিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে। এবার সৌজন্যতার নজির দেখা গেল ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসা চলে আসা কোচবিহার জেলাতে। যেখানে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়। আর যেখানে প্রতিনিয়ত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে, সেখানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাহায্য প্রদান এবং পাশে থাকার আশ্বাস রীতিমত নজির গড়ল গোটা রাজ্যজুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কোচবিহার শহরের 9 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্মী গৌরাঙ্গ দাস। তবে হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতেই একটি পৃথক ঘরে নিজেকে বন্দী করে রেখেছিলেন তিনি। এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানুষদের বাড়িতে খাবার থেকে শুরু করে তাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের উদ্যোগে কারা কারা করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে বিজেপি কর্মী গৌরাঙ্গ দাসের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনেই তার বাড়িতে পৌঁছে যান কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। যেখানে সারা মাসের শুকনো খাবার এই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে দেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হিংসার খবর সামনে আসতে শুরু করেছে, সেখানে করোনা ভাইরাস তৃণমূল এবং বিজেপিকে মিলিয়ে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

অর্থাৎ ভয়াবহ এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে রাজনৈতিক বাছবিচার যে কোনোমতেই দেখছেনা বাংলা, তা কোচবিহারের এই ঘটনা থেকে আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল। যাকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলে।এদিন এই প্রসঙ্গে করোনা আক্রান্ত বিজেপি কর্মী গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “আমার দলের অনেকেই আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে বিরোধী দলের নেতা এভাবে আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে যাবেন, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। তৃণমূল নেতা খোঁজখবর নেওয়াতে আমি অত্যন্ত খুশি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা রাজ্যে নজির হয়ে থাকল কোচবিহার জেলার এই ঘটনা। মানুষের পাশে মানুষ দাঁড়াবে, এটাই কাম্য। কিন্তু বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হিংসাত্মক ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। তবে তার মধ্যেও মডেল হয়ে দাঁড়ালো কোচবিহার জেলা। বিজেপি কর্মীর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে তার বাড়িতে সাহায্য পৌঁছে দিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। অর্থাৎ রাজনৈতিক হিংসা, বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং গন্ডগোলের মাঝেও করোনা ভাইরাস যে কিছুটা হলেও মানবতা স্থাপন করে দিয়ে গেল, তা বলাই যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!