প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ফের বিতর্কের শিরোনামে চলে এলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের কথা ভাইরাল হয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আইসি এবং এসপিকে ফাঁসিয়ে দিতে হবে।” স্বাভাবিক ভাবেই জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ এবং ফোনালাপ সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় তৃনমূল কংগ্রেস যে পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এর আগেও এক বিজেপি নেতাকে ফোন করে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার আবেদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তৃণমূল নেত্রী হতাশায় ভুগছেন। দেউলিয়া হয়ে গেছেন। তাই পরাজয় নিশ্চিত জেনে তিনি এবার বিজেপি নেতাদের শরণাপন্ন হতে শুরু করেছেন। কিন্তু চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনের ফোনালাপ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রকাশ করে দেওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পার্থপ্রতিম রায়ের ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা অমিত মালব্য। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শীতলকুচি ঘটনা নিয়ে পার্থপ্রতিম রায়কে চিন্তা না করার বার্তা দিতে দেখা যায়। এমনকি যে যে সিআরপিএফ এই কাজ করেছে, তাদেরকে দেখে নেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, তিনি যেভাবে বলে দেবেন, ভোটের পরে মৃত ব্যক্তিদের বাড়ির লোক সেইভাবে এফআইআর করবেন বলেও জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী। আর এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরকম রাজনীতি করতেই ভালোবাসেন। সরাসরি জেলা সভাপতিকে এইরকম নির্দেশ দিয়ে বিধিভঙ্গ করেছেন। এর বিরুদ্ধে কমিশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাপে পড়তে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনিতেই তাকে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করার কারণে 24 ঘন্টা প্রচার প্রক্রিয়া থেকে বাদ রেখেছিল কমিশন। আর এবার পঞ্চম দফার নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ার বিজেপি যে তৃনমূলকে ব্যাপকভাবে চেপে ধরবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।