এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > স্পিকার পদে থেকেও বাঁচাতে পারলেন না দলীয় হেভিওয়েটদের গ্রেপ্তারির হাত থেকে, ফুঁসছেন বিমান!

স্পিকার পদে থেকেও বাঁচাতে পারলেন না দলীয় হেভিওয়েটদের গ্রেপ্তারির হাত থেকে, ফুঁসছেন বিমান!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য গঠন হয়েছে রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভা। বিধানসভায় গিয়ে শপথ নিয়েছেন একের পর এক বিধায়ক। আর মন্ত্রিসভার শপথ নেওয়ার কিছুদিন পেরোতে না পেরোতেই আজ রাজ্যের দুই মন্ত্রী, এক বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। আজ সকালে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। অন্যদিকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে এসে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

তবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে রাজ্য বিধানসভার সদস্যের কোনো বিষয় না থাকলেও, বাকি তিনজনই রাজ্য বিধানসভার শাসক দলের সদস্য। সেদিক থেকে বিধানসভার সদস্য হলেও কেন অধ্যক্ষের অনুমোদন না নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা এবং নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলতে দেখা গেল তাকে। তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ। সেক্ষেত্রে তার বিধানসভার কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু সেই আইনের তোয়াক্কা না করে কেন সিবিআই আধিকারিকরা এভাবে গ্রেপ্তার করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভার অধ্যক্ষের এই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে রীতিমতো টালমাটাল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে গ্রেফতার করার পরেই রীতিমত নিজের ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছিল, কাউকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা! আদালত জানতে চাওয়ায় আমি বলেছিলাম, আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। আমাদের কাছে এই বিষয়ে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। কোনো চিঠি দেয়নি। এই বিষয়ে অবশ্যই আমার অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল হাইকোর্টে সেই কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের কাছে কোনো রকম অনুমতি চাওয়া হয়নি।”

তবে একাংশ বলছেন, অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়ার জন্য নিয়ম থাকলেও, এক্ষেত্রে রাজ্যপাল এই ব্যাপারে অনুমোদন দিয়েছিলেন। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সিবিআই এই ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও বা সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে স্পিকারের অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় রাজ্যপাল যখন চার্জশিটের অনুমোদন দিলেন, তখন কিন্তু আমি স্পিকার পদে কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছি। তাই আমি যখন স্পিকার পদে রয়েছি, তখন অবশ্যই আমার অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। আমি জানি না, রাজ্যপাল কিসের উদ্দেশ্যে এই বিষয়ে অনুমোদন দিলেন।” অর্থাৎ সরাসরি এই গোটা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে যে বিন্দুমাত্র মান্যতা দেওয়া হয়নি, সেই ব্যাপারে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই নিয়ম কানুনের বেড়াজালে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে পারে। স্পিকার পদে নিরপেক্ষ হলেও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের টিকিটে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছেন। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষের আসনে বসে তার বিধানসভার সদস্যদের গ্রেফতার যে তিনি কোনোমতেই মেনে নেবেন না, তা বলে কার্যত এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ।

এক্ষেত্রে যেমন নিয়মের কথা তুলে ধরলেন তিনি, ঠিক তেমনই নিজের পদকে সামনে রেখে নিজের সতীর্থদের কিছুটা হলেও বাঁচানোর কৌশল গ্রহণ করলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তার এই নিয়মের কথা কতটা যুক্তিযুক্ত, কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় গোটা পরিস্থিতি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!