স্পীকারের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, জল্পনা বাড়ছে কলকাতা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 29, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত কয়েক দিন যাবত পিএসির চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরী হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত পিএসির সদস্য হিসেবে মুকুল রায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় বিজেপির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রতিবাদ জানানো হয়। এমনকি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকরী করার দাবি তোলে। এই পরিস্থিতিতে আজকে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন। প্রথম থেকে অবশ্য আশঙ্কা করা হচ্ছিল, বিজেপির বিধায়করা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে। কিন্তু সময়কালে দেখা গেল বিজেপির বেশকিছু বিধায়ক যোগ দিয়েছেন এই বৈঠকে। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠকে আসেননি। এই বৈঠকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সন্ধ্যা রানী টুডু, পার্থ ভৌমিক সহ অনেকেই। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, অম্বিকা রায়, বিমান ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল ও তাপসী মন্ডলসহ অন্যান্যরা। বিজেপির পক্ষ থেকে আজকের বৈঠকে দাবি তোলা হয়, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা চালাতে হবে। বর্তমানে গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে সর্বদা উদ্যত। সেক্ষেত্রে গেরুয়া শিবিরের হাতে অস্ত্র হিসেবে রয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ড। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ সরাসরি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিধানসভায় উপস্থিত থাকলেও শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু স্পিকারের ডাকা বৈঠকে উপস্থিত হননি। কার্যত সর্বদল বলা হলেও দুই দলের মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ কংগ্রেস এবং বামেরা বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য থাকার কারণে বিধানসভায় জায়গা পাননি। অন্যদিকে একটি মাত্র আসনে বিজয়ী সংযুক্ত মোর্চার তরফ থেকে আইএসএফ এর নওশাদ সিদ্দিকীকেও এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। সুতরাং সর্বদলীয় বৈঠক বলতে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ বিধানসভার স্পিকারের উপস্থিতিতে। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার স্পিকারের বৈঠকে অনুপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। আগামী 10 ই জুলাই পর্যন্ত চলবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারের অধিবেশন অন্যান্যবারের থেকে পুরোপুরি অন্যরকম হতে চলেছে। তার কারণ তৃণমূলের বিরুদ্ধে এবার বিধানসভায় থাকতে চলেছে শুধুমাত্র বিজেপি। সেক্ষেত্রে বিধানসভার অলিন্দে কিভাবে তৃণমূল গেরুয়া শিবিরকে সামলায় সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -